Tajul arrested with 7500 drugs
ত্রিপুরা রাজ্যের এ প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্ত আঁশটে পিষ্টে জড়িয়ে গেছে নেশা কারবারিদের জ্বালে। নেশার করালগ্রাসে জীবন নিঃশেষ করে দিচ্ছে বহু যুবক যুবতী। এক প্রকার রাজ্যের যুব সমাজ এবং ভবিষ্যৎ বিপর্যস্ত। এই সব কিছু বন্ধ করতেই নেশা মুক্তি অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মাণিক সাহা। বলা বাহুল্য , যখন থেকে ডঃ মাণিক সাহা মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন তখন থেকে ত্রিপুরা রাজ্যের কোণায় কোণায় লুকিয়ে থাকা নেশা কারবারিরা হাতে নাতে ধরা পড়তে শুরু করেছে। সচেতন নাগরিক ও গোপন ভাবে খবর পৌঁছে দিয়ে পুলিশ কে সহায়তা করতে সাহস দেখাচ্ছেন। আর সেই সুত্র ধরে নেশা কারবারিদের জব্দ করতে পারছে প্রশাসন। বিভিন্ন চেক পোস্ট গুলিতে নেশা কারবারি রা প্রতিনিয়ত জামানত জব্দ হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে অবাধে চলে আসা নেশার রমরমা বানিজ্যে একপ্রকার ফুল স্টপ বসিয়ে দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার ডাক।
মুখ্যমন্ত্রীর নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার ডাকে সাড়া দিয়ে এই পরিকল্পনা কে অনেকটা সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে রাজ্যের প্রত্যেক জেলা ও মহকুমার পুলিশ প্রশাসন। একের পর এক সাফল্য কুড়িয়ে নিচ্ছেন তারা। একই ভাবে সোনামুড়া থানাতেও নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি জয়ন্ত কুমার দের নেতৃত্বে একের পর এক নেশা বিরোধী অভিযানে মিলছে সাফল্য।
ওসি জয়েন্ত কুমার দে সোনামুড়ার দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর থেকে একের পর এক নেশা বিরোধী অভিযান করে যাচ্ছেন। যার ফল স্বরূপ আবারো নেশা বিরোধী অভিযানে সাফল্য পেল সোনামুড়া থানার পুলিশ। রবিবার গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযানে নেমে প্রায় ৭৫০০ বোতল নেশা সামগ্রী উদ্ধার করতে সক্ষম হয় সোনামুড়া থানার পুলিশ। ঘটনা সোনামুড়া থানাধীন রাঙ্গামাটিয়া ৩ নং ওয়ার্ড এলাকায়। ঘটনার বিবরণে সোনামুড়া থানার ওসি জয়ন্ত কুমার দে জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এইদিন রাতে সোনামুড়া থানা এলাকার রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের ৩ নং ওয়ার্ডে তাজুল ইসলাম পিতা মৃত দুদুমিয়ার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে তাজুল ইসলামের ঘরে থাকা বক্স খাটের ভেতর থেকে দু ধরনের নিষিদ্ধ কফ সিরাপ কোরেএক্স এবং ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয় এবং পার্শ্ববর্তী তার ভাই ইমরান হোসেন এর বাড়ি থেকেও তল্লাশি চালিয়ে সর্বমোট ৫১০০ বোতল ফেনসিডিল এবং 2400 বোতল কোরএক্স এর বোতল উদ্ধার করা হয়। এই অবৈধ নিষিদ্ধ নেশা দ্রব্যের কালোবাজারি মূল্য আনুমানিক ৫০ লক্ষ টাকা হবে বলে জানান ওসি। এই অভিযানে নেশা কারবারি তাজুল ইসলামকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ । যদিও পুলিশ আসার খবর পেয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় তার ভাই ইমরান হোসেন। তবে তাকেও খুব শীঘ্রই আটক করবে পুলিশ এমনটাই আশ্বস্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য সোনামুড়ায় এই তাজুল ও ইমরান মিলে দীর্ঘদিন ধরে নেশার বেআইনি কারবার চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ ছিল। অবশেষে তাদের আটক করায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন স্থানীয়রা। ধৃত তাজুলের বিরুদ্ধে এনডিপিএস ধারায় মামলা হাতে নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনেও এধরণের অভিযান জারি রাখবেন সোনামুড়া থানার পুলিশ, জানিয়েছেন ওসি জয়েন্ত কুমার দে।