Agartala science city

বিজ্ঞান আমাদের জীবনের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় কণা। এটাই চূড়ান্ত সত্য। ভারত সরকার প্রতিনিয়ত এই দেশের সর্বত্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নত করার চেষ্টা করছে। ভারতের এমন একটিও রাজ্য নেই যেখানে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান সমৃদ্ধির জন্যে বিজ্ঞান কেন্দ্র গড়ে উঠেনি। কারণ কখনও কখনও বই এবং শিক্ষকের দেওয়া পঠন জ্ঞানের পরিসর বাড়াতে যথেষ্ট হয় না। তাই শিক্ষার নতুন আইডিয়া নিয়ে এগিয়ে এসেছে সরকার। সায়েন্স সিটি সেই চর্চার মধ্যে একটি।

ভারতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রচুর কেন্দ্র রয়েছে। মেট্রোপলিটন সিটি বেঙ্গালুরু নিজেই একটি বিজ্ঞানের শহর হিসাবে পরিচিত। এখন আমরা আপনাদের আমাদের স্থানীয় বিজ্ঞান কেন্দ্রের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবো। যা গড়ে উঠেছে উত্তর পূর্ব ভারতীয় পাহাড়ি ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায়।
ত্রিপুরায় দুটি বিজ্ঞান কেন্দ্র রয়েছে। একটি রাজধানী আগরতলার কেন্দ্রে বাধারঘাটের কাছে অবস্থিত। অন্যটি মাতা ত্রিপুরাসুন্দরীর পবিত্র শহর উদয়পুরে অবস্থিত।
আগরতলা সায়েন্স সিটিটিই এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে বড়। এটি 2023 সালের শুরুতে ত্রিপুরার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা দ্বারা উদ্বোধন করা হয়েছিল ৷ তখন থেকে, ত্রিপুরার লোকেরা পর্যটনের আরেকটি নতুন জায়গা হিসেবে এই বিজ্ঞান কেন্দ্র কে বিবেচিত করছেন এবং তারা এই জায়গাটি দেখার জন্য আরও আগ্রহ বাড়িয়েছেণ সময়ের সাথে সাথে ৷ সপ্তাহের বেশিরভাগ দিনেই, বিজ্ঞান কেন্দ্রটিতে রাজ্যের প্রতিটি কোণা থেকে আসা দর্শনার্থীদের ভিড় থাকে।
বলা যায় বিশাল জ্ঞান এর ভাণ্ডার একটি বিল্ডিং-এ বন্দী করা হয়েছে – এটি প্রত্যেকের জন্য সত্যিই একটি মজার বিষয় ছিল প্রথম দিকে। ৮ থেকে ৮০ বছর বয়সী কেউই বিজ্ঞানের স্বাদ নেওয়া থেকে নিজেদেরকে আটকাতে পারেননি ।
আগরতলা স্থিত বিজ্ঞান কেন্দ্রে এন্ট্রি ফি নির্ধারিত মাত্র ১৫ টাকা প্রতি জনে। প্রবেশের পর প্রথমেই চোখে পড়ে বিভিন্ন যন্ত্রপাতির কিছু ভাঙা টুকরো দিয়ে তৈরি একটি ভাস্কর্য। এটি ড. এ.পি.জে আব্দুল কালাম। মূল গ্যালারিতে রয়েছে সৌরজগতের বর্ণনা থেকে শুরু করে আদিম যুগ পর্যন্ত সবকিছুই । দ্বিতীয় গ্যালারিতে, বাচ্চাদের জন্য অনেক মজার উপকরণ রাখা হয়েছে। তবে স্বাভাবিকভাবেই, কেবল বাচ্চারা নয়, বড়রাও তাদের উপভোগ করতে পারেন। প্র্যাক্টিক্যাল অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে অনেক কিছু শেখার জন্যে বিজ্ঞান কেন্দ্রের চাইতে উপযুক্ত স্থান আর কি হবে ?
শিশু থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ মোটামোটি ভাবে সকলেই উপভোগ করছেন এই স্থান টি। তাছাড়া এই বিজ্ঞান কেন্দ্র টি গড়ে উঠার পর এর বাইরে বেশ অনেক গুলি স্ট্রিট ফুড সেন্টার খোলা হয়েছে। যাতে করে বেশ কয়েকজন রোজগারের একটি মাধ্যম ও খুঁজে পেয়েছেন। সব মিলিয়ে এই বিজ্ঞান কেন্দ্র অনেকটাই উপযোগী ভূমিকা পালন করছে বলে করা হচ্ছে।

Leave A Reply