State bank of India RMS branch under short circuit
রামনগর দুই নম্বর রোডে স্টেট ব্যাংক আরএমএস শাখা অফিসটি বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড থেকে রক্ষা পেল। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন ধরে যায় এদিন বিল্ডিংয়ের সিঁড়ির নিচের ব্যাংকের মিটার রুমে । স্থানীয় লোকজনরা দ্রুত খবর দেয় দমকল দপ্তরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে একটি ফায়ার ইঞ্জিন।কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় দমকল কর্মীরা । তবে বড়সড় অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে রক্ষা পেল এই ব্রাঞ্চটি। জানা গেছে, যে ত্রিতল বিল্ডিংটিতে স্টেট ব্যাংকের এই শাখাটি অবস্থিত সেই বিল্ডিংয়ের মালিক সৌমজিৎ সিংহ রায়। বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলায় থাকেন তিনি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, সকাল দশটা নাগাদ যখন তিনি অফিসে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে রাস্তায় নামেন, তখন হঠাৎ তিনি দেখতে পান, তার বিল্ডিংয়ের সিঁড়ির ঘর অর্থাৎ ব্যাংকের মিটার রুমে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। চারিদিকে হইচই শুরু হতেই স্থানীয় এলাকার লোকজন খবর দেয় দমকল বিভাগে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের একটি ইঞ্জিন। অপরদিকে আগুন নেভাতে স্থানীয় লোকজনরা তৎপরতা শুরু করে। তবে দমকল দপ্তরের কর্মীরা দ্রুত আগুন আয়ত্তে আনতে সক্ষম হয়। সৌম্যজিৎ বাবুর দাবি, তার বিল্ডিংয়ের সামনের ইলেকট্রিক খুঁটিতে হঠাৎ স্পার্কিং হয়। সেই আগুন চলে যায় সিঁড়ির নিচের মিটার রুমে। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে আগুন ধরে যায়। সৌমজিৎ বাবুর দাবি অনুযায়ী, তার বিল্ডিংয়ের সামনের ইলেকট্রিক খুঁটিতে বহুদিন ধরেই গোলোযোগ রয়েছে। এই ব্যাপারে বহুবার স্থানীয় বিদ্যুৎ নিগমের অফিসে অভিযোগ জানানো হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ইলেকট্রিক পোস্টের কানেকশন জনিত জটিলতা সারাবার কোন উদ্যোগ নেয়নি বিদ্যুৎ নিগমের কর্মীরা। অপরদিকে রেমেলের প্রভাবে, মঙ্গলবারেই তার বাড়ির সামনের ট্রান্সফরমার উড়ে গেছে। যদিও সেটি বদলে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু ইলেকট্রিক পোষ্টের কানেকশন জনিত জটিলতা সরানো হয়নি। আর তার কারণেই বুধবার এই ঘটনা হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে বড় ধরনের বিপদ থেকে গোটা এলাকার রক্ষা পেয়েছে বলে তিনি মনে করেন। তার দাবি অনুযায়ী, তার বিল্ডিংয়ের স্টেট ব্যাংকের এই ব্রাঞ্চে এদিন প্রচুর গ্রাহক ছিল, তাছাড়া দোতলা এবং তিনতলায় লোকজনরা বসবাস করে। যেভাবে সিঁড়ির ঘরের নিচে আগুন লেগেছিল, তাতে বিল্ডিংয়ের মানুষজনের বের হবার রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যেকোনো কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়লে বহু লোক জীবন্ত দগ্ধ হতো। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে এই ধরনের জটিলতা পূর্ণ বিদ্যুৎ কানেকশন সারাইয়ের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। এদিন সৌম্যজিৎ বাবুর কথারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল দমকল কর্মীদের মুখেও। তাদের দাবি অনুযায়ী, যেভাবে সিঁড়ির ঘরের নিচে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল, দ্রুত তা আয়ত্তে না আনতে পারলে বড় ধরনের অঘটন ঘটে যেত এই বিল্ডিংটিতে ঘিরে। ঘটতে পারতো একাধিক প্রাণহানির ঘটনা।