Power outage at Durgapur Sonamura

রাজ্যে বৈদ্যুতিক সমস্যা নিত্যদিনের ঘটনা। আবহাওয়া যেমন ই হোক না কেন, বিদ্যুৎ পরিষেবার তলানিতে ঠেকানি খাওয়ার পরিণতি ভুগতে হচ্ছে নিত্যদিন বিভিন্ন এলেকার মানুষ দের। গত ২৭শে মে প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ের ফলে গোটা রাজ্য ব্যাপি বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের ও বেশ অনেকদিন আগে থেকেই বহু জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত মানুষ জন। এমনই একটি জায়গা সোনামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের দুর্গাপুর এলাকা। জানা যায় দীর্ঘ প্রায় ১৫ দিন যাবত বিদ্যুৎ নেই ঐ গ্রামে। শতাধিক পরিবারের বসতি সম্পন্ন ঐ গ্রামটিতে বিদ্যুৎ অবস্থা অচল হয়ে পড়ার কারণে পানীয় জল থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে সেখানকার বাসিন্দাদের।
সমস্যার কথা প্রতিনিয়ত সোনামুড়া বিদ্যুৎ অফিসে জানানো হলেও দেখা নেই বিদ্যুৎ কর্মীদের। তাঁর উপর ঘূর্ণিঝড়ের কারণে অন্যান্য এলাকা তে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেবার ফলে বেশিরভাগ বিদ্যুৎ কর্মীরাই ব্যাস্ত অন্যত্র। তাই দুর্গা পুরের এই দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার দিকে নজর দিচ্ছেন না কেউই। অবশেষে ঐ গ্রামের এক দল যুবক মিলে ক্ষোভ উগড়ে দিল আজ সোনামুড়া বিদ্যুৎ অফিসের সামনে।
ক্ষুব্ধ যুবকের দল আজ সোনামুড়ায় বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথের দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দিলো । তারা এও জানান , শহর লাগাও এই গ্ৰামে দীর্ঘদিন ধরেই বিকল ট্রান্সফরমার। সেই ট্রান্সফরমারের আওতাধীন ১০০ পরিবারের জীবন জীবিকা থমকে যাবার খবর রাখছেন না কেউই। অবশেষে ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যুৎ অফিসের ভেতরে বিদ্যুৎ কর্মীদের আটক করে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেয় যুবকরা। প্রায় দুই ঘন্টা তালা বদ্ধ অবস্থায় থাকে বিদ্যুৎ কর্মীরা কিন্তু তাদের উদ্ধার করতে আসেনি কেউই। এই চিত্র দেখেও রীতিমতো হতবাক হয়ে যায় বিক্ষুব্ধরা। তবে শেষ খবর পাওয়া অব্দি সোনামুড়া স্থিত দুর্গা পুরের বিদ্যুৎ জনিত এই সমস্যা সমাধান হয়েছে কিনা সেই নিয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে মন্ত্রী মহোদয় আপ্রান চেষ্টা চালাচ্ছেন রাজ্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা অতি দ্রুত সচল করতে। আর কিছু না পারলেও ইঞ্জিনিয়ার দের চড় থাপ্পর মারার হুমকি ধমকি ঠিকই দিচ্ছেন রতন বাবু। যদিও এধরণের ধমকি দিয়ে বিদ্যুতের মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর পরিচালনা করা যায় কি না তা অন্তত পক্ষে শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মহলের জানা নেই। তবুও যদি কিছু কাজ হয় এবং রাজ্য জুড়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা সচল হয় সেটাই হবে মন্ত্রী রতন লাল নাথের একালের সেরা কীর্তি।

অল্পতে রক্ষা পেল স্টেট ব্যাংকের শাখা অফিস
Leave A Reply