Shariful Islam Death case : লাভ ট্রায়েঙ্গেলের বলি শরিফুল ইসলাম। আগরতলায় চার দেওয়ালের ভেতরে ঠাণ্ডা মাথায় তাকে হত্যা করে সুদূর গণ্ডা ছড়ায় স্যুটকেসে বন্দী করে পাচার হল শরিফুল এর দেহ। তার নিথর দেহ কে ঠিক যেন সিনেমার মতো করে ফ্রিজে রেখে দেওয়া হল। কিন্তু ত্রিপুরা পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পেলনা দোষীরা। ৮ই জুন আগরতলা ইন্দ্রনগর এর বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম নিখোঁজ হয়।

তার পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে নিখোঁজ ডায়েরি ও করে। পুলিশ জোর তদন্তে নেমে তল্লাশি চালাতেই একে একে ধরা পরে সব অপরাধী। উদ্ধার হয় শরিফুল, তবে মৃত অবস্থায়। এই ঘটনা যেন সম্প্রতি দেশে একের পর এক লাভ জিহাদ ও প্রেমের বলি হওয়া প্রত্যেক ঘটনার তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। তবে ত্রিপুরা রাজ্যে এই প্রথম। উল্লেখ্য শরিফুল ইসলাম স্মার্ট সিটি তে বিদ্যুৎ এর কাজ করে। প্রেমিকার সাথে তার কিছুদিন আগে বিবাদ হয়। তার পরপরই প্রেমিকা নবনিতা দাস ও তার দুই ভাই ডঃ দিবাকর সাহা, জয়দীপ দাস এবং আরও এক যুবক মিলে চক্রান্ত করে শরিফুল কে গলা টিপে হত্যা করে । উল্লেখ্য ডঃ দিবাকর সাহা নবনিতা দাস কে ভালোবাসতো। কিন্তু তাদের সম্পর্ক তৈরি হবার ক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দারাচ্ছিল শরিফুল।
অতঃপর এরা শরিফুল কে পথ থেকেই সরিয়ে দেবার পরিকল্পনা করে। ৮ই জুন উপহার দেবার অজুহাতে জয়দীপ দাস এর বাড়িতে ডাকা হয় শরিফুল কে। আর সেখানেই তাকে হত্যা করে তারা এবং একটি ট্রলি বেগ এ তাকে ভরে ঐ ব্যাগ টি রেখে দেওয়া হয়। পরদিন ঐ ব্যাগ টি তাদের অপর এক আত্মিয়ের বাড়িতে রেখে দিয়ে গণ্ডাছড়া থেকে ডঃ দিবাকর সাহার বাড়ির লোক তাদের ইকো গাড়ি নিয়ে এসে পুনরায় স্যুটকেস টি নিয়ে যায়। গণ্ডা ছড়ায় ডঃ দিবাকর এর বাড়ি রয়েছে। সেখানে তাদের একটি দোকান ও আছে। আর সেই দোকানেই ফ্রিজের ভেতরেই রাখা হয় শরিফুল এর দেহ টি। পুলিশ জোর তদন্তে নেমে অবশেষে এই ঘটনার নিষ্পত্তি ঘটায়। গ্রেফতার হয় ৬ জন অভিযুক্ত । তাদের বিরুদ্ধে কঠিন থেকে কঠিনতর পদক্ষেপ নিতে চলেছে প্রশাসন। অন্যদিকে প্রেমিকার প্রতারণা ও হত্যার ষড়যন্ত্র এবং বহিঃরাজ্যে ঘটে চলা অপরাধের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ত্রিপুরায় ঘটে যাওয়া এই স্পর্শ কাতর ঘটনায় চারিদিকে তীব্র চাঞ্চল্য বিরাজ করছে।