Santirbazar CPIM joining
বামের ঘরে বুথ সভাপতি , বিজেপি দলের হাল ক্রমশই নমনীয়
দুঃসময়ে ও সিপিআই এম এ যোগ দিচ্ছেন বহু মানুষ। বিজেপি ও তিপ্রা মথার উপর ভরসা হারাচ্ছেন এবার নেতা কর্মীরাই। এবার এমনই চিত্র উঠে আসছে দক্ষিন ত্রিপুরার শান্তিরবাজার মহকুমা থেকে।
শান্তিরবাজার বিধানসভা কেন্দ্রে গত ২০১৮ সালেই পালা বদল ঘটে। উক্ত কেন্দ্রে ২০১৮ এবং ২০২৩ উভয় নির্বাচনেই জয়ী হন বিজেপি মনোনীত প্রার্থী প্রমোদ রিয়াং। সেই বিজেপি শাসিত কেন্দ্রেই এবার ধরছে ভাঙ্গন। পরপর দুই বার বামেদের ভরাডুবি হলেও এবার যেন বামেরা শক্তিশালী হয়ে উঠছেন ধীরে ধীরে। কিছুদিন আগেও বেশ কয়েকজন বিভিন্ন দল ছেড়ে বাম শিবিরে মিশে গিয়েছিলেন। বিশেষ করে বিজেপি ও তিপ্রা মথা দল থেকে বহু কর্মীরা যোগ দিচ্ছেন বাম দলে। হাতে তুলে নিচ্ছেন লাল পতাকা।
রাজ্যে পুনরায় বাম সরকার ফেরাতে দলে দলে যোগ দান চলছে দিকে দিকে। এবার শান্তিরবাজারে বিজেপি এবং তিপ্রা মথা ছাড়লেন ১৩ জন নেতা কর্মী এবং হাতে তুলে নিলেন লালঝান্ডা। শান্তিরবাজারের পতিছড়িতে মোট ১৩ জন নেতা কর্মী CPIM-এর সমর্থনে কাজ করার ঘোষণা দিয়ে দলে যোগ দান করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপির বুথ সভাপতি এবং তিপ্রামথার ভিলেজ সম্পাদক ও।
রাস্ত্রবাদী বিজেপি দল এর মধ্যে বেশ অনেকটা সময় ধরেই গোষ্ঠী কোন্দল চলছে। যার জেরে বহু বিজেপি কর্মী দল ছেরেছেন এবং বিজেপি দলের কৃত কর্মের ধারায় অতিষ্ঠ হয়ে অন্য দলে যোগ দিয়েছেন।
কারো কারো পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে যে ত্রিপুরায় যারা আদি বিজেপি কর্মী ছিলেন তাদের কে দল বঞ্চিত করেছে এবং নবাগত দের কে সুযোগ সুবিধা এবং বড় বড় পদের দায়িত্বে বসিয়েছে। এর ফলেও ক্ষুব্ধ বহু বিজেপি কর্মী দল ত্যাগ করেছেন। তাছাড়া বিগত ৬ বছরে রাজ্যে বিজেপির কার্যাবলী নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বহু শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ তাদের মত বদলেছেন।
ক্রমশই রাজ্যের মানুষ অনুধাবন করতে শুরু করেছেন যে পূর্বতন সরকার থাকাকালীন ইঞ্জিন সিঙ্গেল হলেও রাজ্যের শান্তি সম্প্রীতি ছিল ডবল । আর এবার ডবল ইঞ্জিনের সরকার থাকলেও রাজ্য জুড়ে অপরাধ ও বেআইনি নেশা বানিজ্য এবং অশান্তির পরিমাণ বেড়েছে। হয়তো এই অনুভবই মানুষ কে পুনরায় বামপন্থী হয়ে উঠার রসদ যোগাচ্ছে।
আগামী দিনে এই যোগদান আরও বহুগুন বাড়তে পারে বলেই ধরে নেওয়া যায় কারণ রাজ্য ব্যাপি বামেরা ও জোর কদমে নানা কর্মসূচী পালন করছে। আর তার ফল কিছুটা হলেও পাচ্ছেন তারা। এই অবস্থায় রাজ্যে আগামী দিনে বামফ্রন্ট কে আরও শক্তি শালি রূপেই দেখা যাবে বলে আশা ব্যক্ত করছেন বুদ্ধি জিবিরা।