Road blockage in south Charilam
১৫ দিন ধরে বিদ্যুৎ এবং পানীয় জল না পেয়ে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা সামিল হলো পথ অবরোধে। ঘটনা বিশ্রামগঞ্জ থানার অন্তর্গত মঙ্গলবার দক্ষিণ চড়িলাম গ্রাম পঞ্চায়েতের মেত্তা মুড়া এলাকায়। দক্ষিণ চড়িলাম গ্রাম পঞ্চায়েতের মেত্তা মুড়া এলাকায় দীর্ঘ ১৫ দিন ধরে নেই বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ না থাকার ফলে চালানো যাচ্ছে না ওয়াটার সাপ্লাই মেশিন। যার ফলে ১৫ দিন ধরে পানীয় জল না পেয়ে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ গ্রামের মানুষ। এমনিতেই চলছে সারা রাজ্য জুড়ে তীব্র দাবদাহ। মেত্তা মুড়া এলাকা উচু টিলা ভূমিতে অবস্থিত। যার ফলে কল বসানো হলেও জল আসে না। এলাকায় নেই কোন পুকুর। ওয়াটার সাপ্লাইয়ের উপর নির্ভর করতে হয় স্থানীয়দের। বিদ্যুৎ না থাকায় প্রচন্ড গরমে শিশু থেকে বৃদ্ধরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করতে পারছে না। রাতের আঁধারে গোটা গ্রাম শ্মশানে পরিণত হয়। বহুবার চড়িলাম বিদ্যুৎ কল সেন্টার অফিসে জানানোর পরও তারা এলাকায় গিয়ে বিদ্যুৎ সারাই করছে না বলে অভিযোগ। যার ফলে এলাকাবাসীর ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে যায়। মঙ্গলবার গ্রামের সমস্ত মহিলারা পানীয় জলের কলসি নিয়ে দক্ষিণ চড়িলাম এবং মেত্তা মুড়া এলাকার সড়ক বন্ধ করে দেয়। সড়ক বন্ধ করার ফলে সড়কের দুই দিকে জমে যায় প্রচুর যানবাহন। দীর্ঘ প্রায় এক ঘন্টা পথ অবরোধ করে রাখে গ্রামবাসী। খবর পেয়ে ছুটে আসে চড়িলাম বিদ্যুৎ কল সেন্টারের কর্মীরা। তারা গ্রামবাসীকে আশ্বস্ত করে যায় বুধবারের মধ্যে মেত্তা মুড়া এলাকায় বিদ্যুৎ সারাই করা হবে। চড়িলাম বিদ্যুৎ কল সেন্টারের কর্মীদের এবং ইলেকট্রিক ঠিকাদারদের তরফ থেকে প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর গ্রামবাসী পথ অবরোধ তুলে নেয়। সুশাসনের রাজ্যে ১৫ দিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকার পরেও চড়িলাম বিদ্যুৎ কল সেন্টারের কর্মীরা মেত্তা মুড়া এলাকায় যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি। এটা কেমন ধরনের সুশাসন চলছে রাজ্যে প্রশ্ন অনেকেরই। তবে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা পথ অবরোধ করার পর হুঁশ ফিরে চড়িলাম বিদ্যুৎ কল সেন্টারের এবং ইলেকট্রিক ঠিকাদারদের। সুশাসনের রাজ্যে পথ অবরোধ একমাত্র সমস্ত সমস্যার সমাধান বলে অনেকেই মনে করেন। না হলে যেই কাজটা পনেরো দিন ধরে করা হয়নি সেই কাজটা পথ অবরোধের সঙ্গে সঙ্গে কিভাবে করার প্রতিশ্রুতি দিল বিদ্যুৎ দপ্তর? প্রশ্ন তো থেকেই যায়!