Recovery of illegal drug paraphernalia at Sonamura
নেশা মুক্ত ত্রিপুরায় ক্রমান্বয়ে নেশার যুক্ত হবার খবর পাওয়া যাচ্ছে। একদিকে পুলিশ একাধিক নেশা কারবারিদের চেলাদের আটক করছে তো অন্যদিকে গজিয়ে উঠছে নেশা বাণিজ্যের এক নতুন মাথা।
ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা এই নেশা কারবারিদের আসল মাস্টার মাইন্ড কারা সেই তদন্তে আজো কোনো ফল বেড়িয়ে আসেনি। পুলিশ যেন হাতের নাগালে পেয়েও পাচ্ছে না আসল অপরাধীর । কথায় আছে কান টানলে নাকি মাথাও আসে। কিন্তু এক্ষেত্রে কান ধরে টান দেবার আগেই হাত থেকে কান ছুটে যাচ্ছে। মাথা আর ধরা যাবেই বা কি করে?
আপাতত রাজ্যের নেশা বিরোধী অভিযানের এমনটাই পরিস্থিতি। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলছেন যে নেশা বিরোধী অভিযান চালাতে হবে। নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়তে হবে। অন্যদিকে কিছু অংশের রাষ্ট্রপতি কালারস প্রাপ্ত পুলিশ বাবুরাই দেখা যাচ্ছে এই রমরমা বানিজ্য পরিচালনায় মদত যোগাচ্ছে। তবে সবার ক্ষেত্রে আবার এই যুক্তি খাটানো যায় না। জন কয়েক গুণী পুলিশ অফিসারদের দৌলতে আজো রোজ কোথাও না কোথাও থেকে আটক হচ্ছে নেশা কারবারিরা। আজ এমনই দায়িত্ববান পুলিশের কারণে আবারো আটক হয়েছে বিপুল পরিমাণ নেশা সামগ্রী তার সাথে আটক হয়েছে এক নেশা কারবারি ও।
ব্রাউন সুগার, ইয়াবা ট্যাবলেট, ফেন্সিডিল,এসকফ, নেশা জাতীয় সিরাপ সহ সোনামুড়া থানা পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে আটক এক নেশা কারবারি। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার গভীর রাতে । জানা যায় সোনামুড়া থানার ইন্সপেক্টর বিপ্লব দেববর্মা , এসআই জগবন্ধু দেববর্মা সহ সোনামুড়া থানার পুলিশ ও এনসি নগর বিওপি বিএসএফ জোওয়ানরা গোপন খবরের ভিত্তিতে তামসাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালায়। আর সেখানেই ৩৫০০ ইয়াবা ট্যাবলেট , ১৪গ্রাম ব্রাউন সুগার, ২৮ বোতল ফেন্সিডিল ও এসকফ নেশা জাতীয় সিরাপ সহ নেশা কারবারি মুশফিকুর রহমানকে আটক করে সোনামুড়া থানায় নিয়ে আসে। সোনামুড়া থানায় নিয়ে আসার পর তার বিরুদ্ধে NDPS এক্টে মামলা গ্রহণ করে সোনামুরা থানার পুলিশ । মঙ্গলবার দুপুরে অভিযুক্তকে সোনামুড়া আদালতে সোপর্দ করবে পুলিশ।
এদিকে অভিযুক্তের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ যে এধরণের কোনো মাদক কিংবা নেশা বাণিজ্যের সাথে সে যুক্ত নয়। বরং তাঁকে অপহরন করে নিয়ে গিয়েছিল কে বা কাহারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওসি জয়ন্ত দে জানান যে গোটা পরিবারটিই এধরণের নেশা বাণিজ্যের সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা। আর তাই ছেলে কে বাঁচাতে এধরণের বক্তব্য রাখছেন তারা। পুলিশ এ বিষয়ে ও তদন্ত করবেন বলে জানিয়েছেন সোনামুড়া থানার ওসি জয়ন্ত দে ।