Rajnagar Jesmine Akhtar
জেসমিন কে গ্রেফতার না করলে আন্দোলন হবে, নেশা ব্যবসায়ী জেসমিন এর বিরুদ্ধে থানায় গর্জে উঠলেন একালাবাসী
নাম জেসমিন আক্তার। বাড়ি আগরতলা রাজনগর এলাকায়। পেশায় নেশা বাণিজ্যিক। এমনটা অবশ্য অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
দুর্ধর্ষ নারীর আখ্যা দিয়ে থানার পুলিশ বাবুদের কাছে বার বার জেসমিন কে গ্রেফতারির দাবী জানিয়ে আসছেন রাজনগর বাসী সহ জয়নগর ও জয়পুরের লোক জন। কিন্তু আঁখেরে কাজ হচ্ছে না। লোক দেখানো ভঙ্গিমায় জেসমিন কে গ্রেফতার করে তুলে নিয়ে এলেও নাকি রাতারাতি ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। পুলিশ এর এহেন কর্মকাণ্ডের পেছনে কি কারণ তা ঠাহর করতে অসফল সাধাসিধে মানুষ। তাই আরও একবার জেসমিন কে গ্রেফতার করার দাবী নিয়ে রাজধানী আগরতলা স্থিত পশ্চিম মহিলা থানার দ্বারস্থ হয়ে ডেপুটেশান তুলে দিলেন এবার রাজনগর সামাজিক সংস্থা ও এলাকার শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ।
তাদের অভিযোগ এই জেসমিন আক্তার নামক মাঝ বয়সী মহিলার বাড়িতে প্রায়শই নেশা দ্রব্যের বানিজ্য চলে। এছাড়া ও নানা রকম অসামাজিক কাজের সাথে জড়িয়ে আছে এই জেসমিন। তার বাড়ি থেকে এর আগেও তিন জন পুরুষ ও একজন মহিলা কে হাতে নাতে আটক করে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দিয়েছিলেন স্থানীয়রা। এর পর দু বার পুলিশ এর কাছে আর্জি জানান তারা জেসমিন কে গ্রেফতার করার জন্যে। কিন্তু তাঁকে আটক করেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর পর জেসমিন নাকি ছাড়া পেয়ে উল্টে এলাকার বেশ কিছু লোক কে হুমকি ধমকি দিতে থাকে। ফোন যোগে ও নাকি একাধিক লোক কে ঐ মহিলা ফাঁসিয়ে দেবার হুমকি দিয়েছে। এতো কিছুর পর এবার স্থানীয় এক সামাজিক সংস্থার সহযোগিতা নিয়ে এবার এলাকাবাসী শেষ বারের মতো পুলিশ কে জানিয়েছেন যেন অতিসত্বর ঐ মহিলা কে পুলিশের আওতায় এনে তদন্ত চালানো হয়। অন্যথা আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তারা।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে সমস্ত কিছু জেনেও কেন পুলিশ জেসমিন আক্তার কে ছেড়ে দিল। তবে কি রাজ্যের বুকে নেশা কারবারি দের দাপটে ভীত সন্ত্রস্ত খোদ পুলিশ প্রশাসনই ? শুধু জেসমিন নয়, রাজধানীর বুকে এমন বহু নেশা বাণিজ্যের মাস্টার মাইন্ড রয়েছেন যাদের কাছ থেকে হফতা নিয়ে তাদের অঘোষিত নেশা বানিজ্য চালানোর লাইসেন্স দিয়ে রেখেছে ত্রিপুরা পুলিশ। আর এই সমস্ত তথ্য উঠে আসছে একাংশ নেশা সেবন কারীদের মুখেই।
এবার দেখার বিষয় শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের চাপে পরে আঁখেরে পুলিশ বাবুবা নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হন কিনা।