One and half crore weed rescued
রাজ্যে একের পর এক গাঁজা বিরোধী অভিযানে সফলতা কুড়িয়ে বেড়ানো রাষ্ট্রপতি কালারস প্রাপ্ত পুলিশ অবশেষে কি না দেড় কোটি টাকার গাঁজা আটক করতে ব্যর্থ হল। এটা কি আদৌ ভুল ? নাকি এর পেছনে রয়েছে রঙ্গিন নোটের লেনদেন?
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠবে।
এমনই এক ঘটনায় রীতিমতো ত্রিপুরা পুলিশের উপর সন্দীহান রাজ্যের মানুষ। কেননা রাজ্যের এতো গুলো চেক পোস্ট অতিক্রম করে অবশেষে আসামে গিয়ে ধরা পড়েছে এই বিশাল মাপের গাঁজা।
হাজার কিংবা লক্ষ নয়, এবার এক যোগে দেড় কোটি টাকা মূল্যের গাঁজা ধরা পড়লো আসামে। সঙ্গে আটক হয়েছে গাঁজা পরিবহনকারী লরির চালক। জানা যায়, তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে আগরতলা থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজা বহিঃরাজ্যে পাচারের অর্ডার দেওয়া হয় লরি চালককে। সেই মোতাবেক লরি চালক রাজী হয়ে যায়। ত্রিপুরা থেকে নির্বিঘ্নে এই বিশাল পরিমাপের গাঁজা নিয়ে বহিঃরাজ্যের দিকে রউনা হয় লরিটি। ত্রিপুরা পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে কিংবা ম্যানেজ করে বেড়িয়ে যেতে সক্ষম হলেও আসাম পুলিশের নজর থেকে বাচতে পারেনি। অসম চুরাইবাড়ি ওয়াচপোস্টের পুলিশের হাতে আটক হয়েছে গাঁজা সহ চালক।
ত্রিপুরা পুলিশ যেখানে তল্লাশি করেও গাঁজা আটক করতে পারেনি সেখানে অসম পুলিশের নিকট আগে থেকেই গোপন খবর পৌঁছে যায়। শনিবার একইভাবে আগরতলা থেকে HP17E-9474 নম্বরের একটি বারো চাকার ট্রাক গাড়ি বিহারের গাজীপুর যাওয়ার উদ্দেশে ত্রিপুরা সীমান্ত পেরিয়ে অসম চুরাইবাড়ি ওয়াচ পোস্টের নাকা গেটে আসতেই সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা নাগাদ গাড়িটি আটক করে তল্লাশি চালায় পুলিশ। গাড়ির ভেতরে খালি বস্তার মাঝে থাকা গোপন কেবিন থেকে দেড় কোটি টাকার গাঁজা উদ্ধার হয়। এদিকে গাড়ির চালক অমিত কুমারকে (পিতা পিয়ারী লাল) আটক করা হয়েছে। তার বাড়ি হিমাচল প্রদেশের মাজরা থানার পদ্দুনী গ্ৰামে বলে জানা গেছে। সে জানায়, তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে সে গাঁজা গুলো বিহার নিয়ে যাচ্ছিল। পুলিশ তার বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইনে মামলা রুজু করেছে এবং সোমবার করিমগঞ্জ সিজেএম আদালতে তাঁকে সোপর্দ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
তবে শেষ প্রশ্ন থেকেই যায়, এতো বিশাল পরিমাপের গাঁজা রাজ্য থেকে বহিঃরাজ্যে পাচার হতে গিয়ে কোনো চেকপোস্টে পুলিশে