খবরে প্রতিবাদ

খবরে প্রতিবাদ

Thursday, 26 June 2025 - 08:44 PM
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫ - ০৮:৪৪ অপরাহ্ণ

Old Agartala Old Tea Garden : পুরনো আগরতলার পুরাতন চা বাগান – মেখলিপাড়া টি এস্টেট

1 minute read
Old Agartala Old Tea Garden
বাঙ্গালী অবাঙ্গালী কিংবা বিদেশী, সকাল এর শুরু হোক কিংবা সন্ধ্যের আড্ডা সব ক্ষেত্রেই একটা জিনিস কমন আর সেটা হল “চা”। চা ভালোবাসেন না এমন লোক খুব কমই আছেন। ব্রেকফাস্টে চা, গল্প আড্ডায় চা, খোশ মেজাজে চা, মন খারাপে চা, বিয়ে বাড়িতে চা, মেলায় চা আর কোথায় কোথায় বলবো ! চা এর গপ্প করলে শেষ হবে না। আর সেই চা উৎপাদনে আমাদের ভারত বর্ষের মধ্যে শীর্ষ স্থান দখল করে আছে উত্তর পূর্বাঞ্চলের আসাম সহ ত্রিপুরা ও।

ত্রিপুরায় চা এর উৎপাদন

ত্রিপুরা রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাঁশ ও রাবার এর পরের স্থানেই রয়েছে চা এর বানিজ্য। রাজধানী আগরতলা থেকে শুরু করে দক্ষিণে সাব্রুম পর্যন্ত অনেক চা বাগান রয়েছে। তার বেশিরভাগ টাই বেসরকারি চা বাগান। প্রতি বছর এই রাজ্যে চা উৎপাদনের বেশ ভালো একটা পরিমাণ রয়েছে। বিশেষ করে আগরতলা স্থিত চা বাগান গুলোর থেকে একটা বিরাট অংশের উৎপাদিত চা পাতা রাজ্যের বাজার গুলিতে বিক্রি হয়ে থাকে। এরই মধ্যে একটি হচ্ছে পুরাতন আগরতলার সন্নিকটে অবস্থিত মেখলিপাড়া টি এস্টেট।

মেখলিপাড়া টি এস্টেট

প্রায় ৩০০ একরের ও বেশি জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই মেখলিপাড়া চা বাগান। এর অবস্থান বহু পুরনো। রোজ এই বিশাল মাপের চায়ের বাগানে প্রচুর সংখ্যক চা শ্রমিকেরা কাজ করে চলেছেন। সকাল এর দিকে বিশেষ করে পাতা তোলার কাজে বাগানে আসেন শ্রমিকেরা। পাতা তোলা শেষ করে সেই পাতাগুলো নিয়ে যাওয়া হয় ফ্যাক্টরিতে। সেখানে প্রথমে পাতা থেকে জল ঝরিয়ে নেওয়া হয়। এর পর মেশিনের মাধ্যমে পাতাগুলো কে সুক্ষ্ম টুকরো করে শুকিয়ে নিয়ে তার থেকেই তৈরি করা হয় চা পাতা ( যেটা দিয়ে মূলত চা তৈরি হয়)। এর পর বিভিন্ন আকার অনুযায়ী পাতা গুলিকে প্যাকেটিং করে বাজারজাত করা হয়ে থাকে । আর এর সম্পূর্ণ তার মূল ভিত্তি হচ্ছে এই চায়ের বাগান গুলো।

মেখলিপাড়ায় পর্যটকের আনাগোনা

মেখলিপাড়া চা বাগান বর্তমান সময়ে দাড়িয়ে ভ্রমন পিপাসুদের কাছেও একটি বিশেষ আকর্ষণীয় স্থান। একটা সময় এখানে পিকনিক করার ও সুব্যবস্থা ছিল। তাছাড়া বিকেলে সূর্যাস্তের সোনালি বর্ণের সৌন্দর্য উপভোগ করার সাথে ছবি তোলার হিড়িক টেনে আনে বহু পর্যটক কে এই মেখলিপাড়ায়।
ত্রিপুরার চা বাগানের সৌন্দর্য বরাবরই আসাম কিংবা দেশের দক্ষিণাংশের চা বাগানের অনুরুপ সেটা বললেও ভুল হবে না। তাছাড়া ত্রিপুরার নিজস্ব উৎপাদিত চা ত্রিপুরা ছাড়া ও উত্তর পূর্ব ভারত এবং পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হয়ে থাকে। যা কিনা এক প্রকার এই রাজ্যের জন্যে গৌরবের বিষয়। এছাড়া ও ত্রিপুরা সরকার চা শ্রমিকদের জন্যে এবং রাজ্যের চা উৎপাদন কে বিশ্বের দরবারে স্থান করে দিতেও নানা উন্নয়নমুখী প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
যার ফলে আগামী দিনে উত্তর পূর্বের এই ছোট্ট পাহাড়ি রাজ্যের নিজস্ব উৎপাদিত চায়ের খ্যাতি চারিদিকে ছড়িয়ে পরবে।
ভিডিও