Modi arrival at Astabal Tripura

নির্বাচনের ডঙ্কা বেজে গেছে। আর হাতে মাত্র ৪৮ ঘণ্টা। এর পরই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে দেশের সবকটি রাজ্যেই এক একবার করে জনসমাবেশে শামিল হয়েছেন মোদী। বাকি ছিল ত্রিপুরা। আজ সেটাও সম্পন্ন করতে রাজ্যে আসছেন নরেন্দ্র মোদী। মোদীর আগমন কে কেন্দ্র করে রাজধানী আগরতলা স্থিত আস্তাবল ময়দান কে ঢেলে সাজানো হয়েছে। বিগত বেশ কিছু দিন যাবত চলছিল কাজ। গেঁড়ুয়া সাদা কাপরের ছাউনি দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছে গোটা ময়দান চত্বর কে। ভেতরে সুসজ্জিত মঞ্চ, আর হাজার হাজার গেঁড়ুয়া চেয়ার। এখন শুধু মাত্র প্রধানমন্ত্রীর আগমনের অপেক্ষা।
উল্লেখ্য এর আগেও বহুবার রাজ্যে এসেছেন নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যে একজন প্রধানমন্ত্রীর এতবার আগমন কে ঘিরে স্বাভাবিক ভাবেই মানুষের মধ্যে এক গভীর আবেগ কাজ করেছে। তাই শুধু মাত্র বিজেপি কিংবা মোদী সরকারের সমর্থকই নন, বিরোধী দল এর অনুগামী রা ও এধরণের সমাবেশে এর আগেও মিলিত হয়েছেন শুধুমাত্র মোদী জি কে একবার দেখবেন বলে। আজকের সমাবেশে ও ঠিক ততটাই জনসমাগম হবে কি না সেদিকেই ফোকাস রাখছেন সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা গুলিও।
সকাল থেকেই ট্রেন কিংবা সড়ক পথে বিভিন্ন জানবাহনে চড়ে আস্তাবল ময়দানের উদ্দেশ্যে রউনা হয়ে গেছেন দূরপাল্লার যাত্রীরা। এছাড়া দলীয় ভাবে দূরদূরান্ত থেকে আগতদের জন্যে গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রখর রোদ ও দাবদাহ কে উপেক্ষা করেই জনজমায়েতে শামিল হচ্ছেন মানুষ জন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার আগরতলায় কংগ্রেস এর সর্বভারতীয় সম্পাদিকা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর আগমনে উৎসাহী দের যে উচ্ছ্বাস ও সমাগম দেখা গেছে শহর আগরতলায় তার থেকে আন্দাজ করা যায় , জনসমাবেশ হলে জনঢলে ভাসতো এদিন আগরতলা। কিন্তু সিণ্ডিকেট এর অসহযোগিতার কারণে জনসমাবেশ করতে ব্যর্থ হয় কংগ্রেস। এদিকে বিজেপির জনসমাবেশে সিণ্ডিকেট থেকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা মিলেছে কিংবা জোর খাটিয়ে সিণ্ডিকেট থেকে গাড়ি নিয়ে গিয়ে রাজ্যের কোণা কোণা থেকে মানুষ জন কে জনসভায় নিয়ে আসা হচ্ছে। তাই স্বাভাবিক অর্থেই ভিড় বাড়বে। সন্দেহ নেই!
আর শুধুমাত্র বিজেপির সমরথকেরাই নন, গাড়ি তে করে আসছেন পাহাড়ের তিপ্রা মথার সমর্থকেরাও। বিজেপি ও তিপ্রা মথার জোটের পর থেকেই মোদী সরকারকে সম্পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে “তিপ্রা ল্যান্ডের” দাবী কে একপ্রকার ভুলেই গেছে মথা। তাই এবার বিজেপির তালে তাল মেলাচ্ছেন তারা। তবে সার্বিক অর্থে আজ মোদীর জনসমাবেশে প্রচুর মাত্রায় ভিড় জমিয়ে বিরোধী দের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাইছে বিজেপি যে ত্রিপুরার দুটি আসনে জয়ী হচ্ছেন তারাই। তবে স্ট্র্যাটেজি লক্ষ্য করলে বোঝা যাবে প্রকৃত জনপ্রিয়তা এবং জনগনের মতামত ঠিক কোন দিকে।
এই মুহূর্তে মোদী জি আস্তাবলে এসে পৌছাতে এখনো কিছুটা সময় বাকি। উনার শেষ বক্তব্যে ত্রিপুরার আপামর জনতার মনে কি প্রভাব পড়বে সেটাই দেখার বিষয়।

Leave A Reply