MLA Tafajjwal Hosain : রাজনীতির মঞ্চে নেতাদের বিভিন্ন কর্মসূচি লেগেই থাকে, তবে এক বিধায়ক কৃষকের হাল ধরেছেন হাতে — এ দৃশ্য সচরাচর দেখা যায় না। কিন্তু এবার সেই ব্যতিক্রম ঘটালেন বক্সনগরের বিধায়ক তফাজ্জল হোসেন। আধুনিক যন্ত্রে চাষের পর এবার তিনি হাতে নিলেন গরুর জোতা হাল, নেমে পড়লেন জমিতে চাষ করতে। কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে অনন্য উদাহরণ স্থাপন করলেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটে আশাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩ নম্বর বুথে। বুথ সভাপতি ফারুক মিয়া অসুস্থ থাকার কারণে তার জমির কাজে অচলাবস্থা তৈরি হয়। বিষয়টি জানার পর বিধায়ক নিজেই ছুটে যান মাঠে। দলীয় কর্মী ও এলাকাবাসীদের সঙ্গে নিয়ে শুরু করেন হাল চাষ, এরপর মই দিয়ে ধান চারা রোপণের কাজেও অংশ নেন।
এই দৃশ্য দেখতে বহু মানুষ ভিড় করেন মাঠে। কেউ মোবাইলে ভিডিও তুলছেন, কেউবা চোখের সামনে এমন এক দৃশ্য দেখে বিস্ময়ে অভিভূত। এক সাধারণ কৃষক বলেন, “এই প্রথম দেখলাম একজন বিধায়ক গরু নিয়ে হাল চাষ করছেন। এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।”
বিধায়ক তফাজ্জল হোসেন জানান, “আমার বাবাও কৃষক ছিলেন। ছোটবেলায় বাবার সাথে ধান চাষ করেছি। আজ আবার সেই অভিজ্ঞতা ফিরে পেলাম। কৃষকরা আমাদের জীবনের মেরুদণ্ড, তাদের পাশে থাকা আমাদের দায়িত্ব।”
তিনি আরও জানান, বক্সনগরের কৃষকদের জন্য ইতোমধ্যে ৩০টি মিনি ট্রাক্টর ও ৫টি বড় ট্রাক্টর সরবরাহ করা হয়েছে। আগামীতে আরও উন্নত যন্ত্রপাতি, সার, বীজ এবং সোলার সেচ প্রকল্প চালুর মাধ্যমে কৃষকদের সুবিধা দেওয়া হবে।
এই উদ্যোগে অংশ নেন স্থানীয় দুই সরকারি কর্মচারীও, যারা ছুটির দিনেও স্বতঃস্ফূর্তভাবে জমিতে কাজ করতে এগিয়ে আসেন। এলাকাবাসী, বিশেষ করে মহিলারা বিধায়কের এই কর্মকাণ্ড দেখে অভিভূত। দীপালি দাস নামে এক মহিলা বলেন, “মানুষের পাশে থাকার গল্প শুনেছি, আজ বাস্তবে দেখলাম।”
সামাজিক মাধ্যমে বিধায়কের এই উদ্যোগ ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। বক্সনগরের কৃষকদের মধ্যে ফিরে এসেছে এক নতুন উৎসাহ। সাধারণ মানুষের কণ্ঠে উচ্চারিত হচ্ছে একটাই কথা — “এমন জননেতা বারবার জন্মায় না।”