Minor Girl kidnapping Case : এক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যুবকের বিরুদ্ধে এক নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়াল আগরতলায়। বুধবার টিউশন সেরে ফেরার পথে নিখোঁজ হয় জিবি ইন্দ্রনগরের কমলাকান্ত পাড়ার এক নাবালিকা। পরিবারের অভিযোগ, ওই কিশোরীকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায় নন্দননগর এলাকার বাসিন্দা আনসার উদ্দিন নামে এক যুবক।
ঘটনার সূত্র ধরে, শুক্রবার আগরতলা রেলস্টেশন থেকে ওই নাবালিকা ও যুবককে আটক করে পূর্ব মহিলা থানায় হস্তান্তর করেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের কর্মীরা।
নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় দায়ের করা এজাহারে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্ত যুবক কিশোরীকে বেঙ্গালুরু নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল এবং পাচারের উদ্দেশ্যে অপহরণ করে। এজাহারে আরও উল্লেখ রয়েছে, একাধিকবার ওই যুবক নাবালিকার প্রতি শ্লীলতাহানির মতো ঘটনা ঘটিয়েছে।
যদিও, এখনও পর্যন্ত কিশোরীর মেডিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি এবং পুলিশের তরফেও সেই বিষয়ে কোনও নিশ্চিত মন্তব্য করা হয়নি।
এই ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, অভিযুক্ত যুবকের পরিচয় এবং ধর্ম পরিচয় সম্পর্কে নাবালিকার পরিবার প্রাথমিকভাবে কিছুই জানতেন না। পরবর্তীতে বজরং দলের সহায়তায় তারা এসব তথ্য জানতে পারেন বলে দাবি করেছেন কিশোরীর মা। পাশাপাশি, বজরং দলই থানায় একটি লিখিত এজাহার জমা দেয়, যা ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে।
তবে, এই ঘটনায় আদৌ অপহরণ হয়েছিল, নাকি এটি ছিল পারস্পরিক সম্মতিতে দুই ভিন্ন ধর্মাবলম্বী কিশোর-কিশোরীর প্রেমঘটিত সম্পর্ক—সে প্রশ্নও উঠে আসছে। কিশোরীর পরিবারের বক্তব্যে সামঞ্জস্য না থাকায় সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে। একদিকে মেয়ের মা দাবি করছেন, অভিযুক্তকে চেনেন না, নাম-পরিচয় কিছু জানেন না; অন্যদিকে, পরবর্তীতে তিনি নাম-ঠিকানাও জানিয়ে দিচ্ছেন।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দলের সক্রিয় ভূমিকা ও চাপের প্রেক্ষিতে মামলাটি দায়ের হয়েছে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন এলাকার কিছু নাগরিক।
এখন পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে সত্যতা প্রকাশ করার দিকে তাকিয়ে গোটা এলাকা।