Madhabi Biswas Arrested : সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজনৈতিক সমালোচনা করে বিপাকে পরে গেলেন এক মহিলা। প্রভাবশালী দের দ্বারা থানায় দায়ের হল তাঁর বিরুদ্ধে মামলা। অতঃপর পুলিশ এর হাতে গ্রেফতার হতে হল তাকে।
মাধবী বিশ্বাস, মোটামোটি ভাবে এই নামৎ ত্রিপুরা রাজ্যের অশিকাংশ মানুষ চেনেন বা জানেন। বিগত কয়েক দিনে আরও বেশি পরিমাণে পপুলারিটি পেয়েছেন মাধবী। মাধবী বিশ্বাস মুনমুন নামে ফেসবুকে তাঁর একটি পেইজ রয়েছে। সেখানেই বিভিন্ন অঙ্গ ভঙ্গি , কখনো আবার অশালীন ভিডিও ও পোস্ট করতেন মাধবী। সব কিছুই তাঁর অবসর সময় অতিবাহিত করা এবং মনোরঞ্জনের উদ্দেশ্যে করা কীর্তি, নিজেই একদিন একথা জানিয়েছিলেন।
তবে সেই পরিচিতি দিয়ে হয়তোবা মাধবী সন্তুষ্ট ছিলেন না। কিংবা হতে পারে রাজ্যে চলমান অরাজক পরিস্থিতি নিয়ে একটু বেশিই ভাবুক হয়ে পড়েছিলেন। তাই শেষ কদিন যাবত রাজনৈতিক তর্জা নিয়েই তাকে বেশির ভাগ সময় একটিভ থাকতে দেখা যায়।
মাধবীর বাড়ি আগরতলা যোগেন্দ্র নগর এলাকায়। বিগত কিছুদিন ধরেই নিজের সামাজিক মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা কে নিয়ে, সাংসদ বিপ্লব দেব কে নিয়ে, প্রধানমন্ত্রী কে নিয়ে নানাবিধ কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে প্রকাশ্যে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। দলের একনিষ্ঠ কার্যকর্তা রা সম্মিলিত ভাবে পশ্চিম থানার দ্বারস্থ হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা ও করেন। আর সেই মামলার জেরেই এবার আটক প্রতিবাদী নারী আখ্যা প্রাপ্ত “ মাধবী বিশ্বাস “ ।
আজ ২৬শে অক্টোবর তাকে তাঁর নিজ বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হয় পশ্চিম আগরতলা থানায়। তাঁর মোবাইল ফোন টিও জব্দ করে নেয় পুলিশ। আগামী কাল তাকে কোর্টে তোলা হবে বলেও জানা যাচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার নম্বর ১২৩/২৫।
যদিও মাধবী বিশ্বাস সামাজিক মাধ্যমে যে সমস্ত মন্তব্য করেছেন তা একজন নাগরিক এর বাক স্বাধীনতার অধীন। যে কেউ যে কোনো ধরণের বক্তব্য বা নিজ মতামত প্রকাশ করতেই পারেন। তবে জনপ্রতিনিধি দের কে ঘিরে নানা বিধ প্রশ্ন উত্থাপন করাতেই কি বিগত দিনের প্রতিবাদী একাংশের মতো মাধবী কেও আইনী গেঁড়াকলে আঁটকে দিয়ে সত্য কে চাপা দেবার চেষ্টা চালানো হচ্ছে, এমনটাই বর্তমানে চাউর হচ্ছে বিভিন্ন মহলে।



