LOG HUT- Sepahijala

পর্যটক মানেই ভ্রমন পিপাসু। এখান থেকে ওখানে , নতুন কিছু দেখা, নতুন কিছু অনুভব করা এবং বিশেষ করে নতুন কিছু আবিষ্কার করার তীব্র স্পৃহা যাদের তারাই প্রকৃত অর্থে পর্যটক। আর যে কোনো পর্যটকের কাছেই সেই সমস্ত পর্যটন স্থল অতি প্রিয় যাতে প্রকৃতির ছোঁয়া রয়েছে। কৃত্রিমতার সুন্দরতা যতই হোক, প্রকৃতির কোলে একটা আলাদা রকমের তৃপ্তি পাওয়া যায়, আর এটা অনস্বীকার্য।

LOG HUT- Sepahijala

পর্যটকরা প্রাকৃতিক উপাদানের সাথে সময় কাটাতে খুবই পছন্দ করেন। বন, নদী, জলপ্রপাত, পাহাড়, সমুদ্র সৈকত ইত্যাদি প্রকৃতির সেই সব সুন্দর উপাদান যা একজন পর্যটকের চোখে অভূতপূর্ব আনন্দ এনে দেয়। ত্রিপুরার পাহাড় এবং সবুজ আবরনের জন্য পর্যটকদের মনের মধ্যে একটি আলাদা মর্যাদা রয়েছে। এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য গুলই সবাইকে আকর্ষণ করে।
এমন সবুজে ঘেরা ত্রিপুরায় অনেক পর্যটন স্থল রয়েছে। তার মধ্যে একটি অন্যতম পর্যটন স্থল হচ্ছে সিপাহীজলা অভয়ারন্য।

সিপাহীজলার প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং এখানকার বন্য প্রাণীরাই দর্শনার্থীদের প্রধান আকর্ষণ। তা ছাড়া এই চিড়িয়াখানার ভিতরে একটি লগ হাট রয়েছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত এই সিপাহিজলা অভয়ারণ্য। তবে এখানে নির্মিত লগ হাট নামক কুঁড়েঘর গুলোর বিষয়টি সাধারণত অনেক পর্যটকদের কাছেই অজানা। এই জায়গায় জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ।
এটি মূলত অতিথিদের একটি শান্ত এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রদানের জন্য নির্মিত হয়েছিল।

ত্রিপুরা রাজ্যের স্থানীয় কাঠ এবং বাঁশ দিয়ে সম্পূর্ণরূপে লগের কুঁড়েঘর গুলি তৈরি। অনেকেই জানেন যে ত্রিপুরা বাঁশ শিল্পের জন্য সুপরিচিত। বেশিরভাগ আকর্ষণীয় স্পটগুলিতে এই রাজ্যের প্রধান প্রাকৃতিক শিল্পজাত উপাদান অর্থাৎ বাঁশের স্পর্শ রয়েছে।


এছাড়াও, বিভিন্ন প্রজাতির ফুল গাছ দিয়ে সাজানো হয়েছে লগ হাট গুলিকে। বিভিন্ন পাতাবাহারী গাছ দিয়ে চারদিকে একটি সুন্দর আবরণ তৈরি করা হয়েছে। সাথেই একটা পুরনো কাঠের ব্রিজ চোখে পড়ে। যদিও সেটা একটু ভগ্নতায় ও জীর্ণতায় ভুগছে। যে কারণে এই সেতুর ওপরে একসঙ্গে সর্বাধিক ৫ জনই দাঁড়াতে পারবেন। অর্থাৎ সেতুটির অবস্থা করুণ এবং যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে। কিন্তু তবুও, মানুষ সেতুর উপর দিয়ে হেঁটে, ছবি তোলেন। বহু পুরনো হলেও বোঝা যায়, লোকেরা সত্যিই এই জায়গাটিকে ভালবাসেন। এই লগ হাট সম্পূর্ণরূপে অতিথিদের সব ধরণের সুযোগ সুবিধা পরিবেশন করা হয়। প্রতিটি রুমের ভিতরে এসি, টিভি, গ্রীজার ইত্যাদি সুবিধা রয়েছে। প্রতিটি লগ হাটের খরচ প্রতি রাতের জন্য প্রায় 2,240 টাকা হিসেবে নির্ধারিত রয়েছে।
প্রকৃতির মাঝে এমন একটি সুন্দর জায়গায় একটা সুন্দর সময় কাটাতে এই টুকু খুব বেশি নয়। তাই যে কোনো ছুটির দিনেই এখানে অতিথিদের আনাগোনা লেগেই থাকে। সব মিলিয়ে সুন্দর একটি উপহার পর্যটকদের জন্যে। যা কম বেশ আপনাদের ও ভালো লাগবে।

Leave A Reply