Kejriwal in Tihar jail : ১৫ দিনের জন্যে তিহার জেলে কেজরিওয়াল!
১লা এপ্রিল সোমবার, দিল্লির রাউজ এভিনিউ কোর্টে অরবিন্দ কেজরিওয়াল এর বিরুদ্ধে মানি লন্ড্রিং এর মামলা নিয়ে ফের বিচার সভা বসে। কোর্টে cbi এর বিশেষ বিচারপতি কাবেরি বাবেজার সম্মুখে বিগত শুনানির দিনে কেজরিওয়াল নিজের রিমান্ড এর বিরুদ্ধে কিছু না বললেও কোন কোন সাক্ষীর পরিপ্রেক্ষিতে উনাকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই বিষয়ে স্পষ্টীকরণ দিয়েছিলেন তিনি।
এর পর ১লা এপ্রিল সোমবার শুনানি হলে কেজরিওয়াল কে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার আবেদন জানায় ইডি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জিজ্ঞেস করেছিলেন প্রদত্ত দলিলের সাথে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার কি সংযোগ? ইডি জানায় আগামী দিনে উনাকে হেফাজতে রাখার অধিকার ইডির কাছে রয়েছে। এর পরেই কোর্ট ইডির দাবী অনুযায়ী ১৫ দিনের জন্যে অরবিন্দ কেজরিওয়াল কে দেশের সবচাইতে বড় কারাগার তিহার জেলে পাঠানোর কথা জানায়। মানি লন্ড্রিং এর মামলা ভারতের আইনে এমন একটি মামলা যাতে জামিন পাওয়া এক প্রকার অসম্ভব। আগামী ১৫ই এপ্রিল পর্যন্ত কেজরিওয়াল কে থাকতে হবে তিহার জেলে। আর এই নির্দেশের পর পরই আরও বেশি পরিমানে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে উনার পরিবার পরিজন থেকে শুরু করে শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যেও।
রবিবার এই দিল্লির রামলীলা ময়দানে বিরোধী ইন্ডিয়া জোট মঞ্চ এর পক্ষ থেকে কেজরিওয়ালের সমর্থনে এক বিশাল জনসভার আয়োজন করা হয়। তাতে কংগ্রেসের নেতৃত্ব থেকে শুরু করে বিরোধী অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি ও অংশ গ্রহন করে। তার ২৪ ঘণ্টা অতিক্রম হবার আগেই কেজরিওয়াল কে পাঠিয়ে দেওয়া হল তিহারে। গোটা ঘটনা পরিকল্পিত। শুধুমাত্র কেজরিওয়াল কে লোকসভা নির্বাচন অব্দি আটকে রাখার ফন্দি। এমনটাই অভিযোগ গেঁড়ুয়া শিবিরের দিকে।
এদিন কেজরিওয়ালের স্ত্রী শ্রীমতী সুনিতা কেজরিওয়াল ক্ষোভের সুরে বলেন, “ দেশের মানুষ এর জবাব দেবে, এই তানাশাহি চলবে না।“
অন্যদিকে কোর্ট থেকে বেরোতেই কেজরিওয়াল মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্যে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে বলেন , “ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যা করছেন তা দেশের জন্যে কোনো ভাবেই ভালো নয়।“ উনার এই প্রতিক্রিয়া ইতিমধ্যেই নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে গেছে।
তাছাড়া, বিজেপি সরকারের পক্ষ থেকে বিরোধী দের দমন করার ক্ষেত্রে যে সমস্ত চাল চক্র চলছে তাতে বেশ কয়েকজন তাবড় তাবড় নেতা , মন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী বর্তমানে তিহার জেলে বন্দী। তবে সেক্ষেত্রে তাদের সহধর্মিণী দের দেখা যাচ্ছে ময়দানে নেমে লড়াই করতে।
এদিকে তিহার জেলে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল কে কোথায় রাখা হবে , সেই নিয়ে দীর্ঘ সময় যাবত একটি মিটিং ও করা হয়েছে। উল্লেখ্য তিহার এর ভেতর মত ৯টি আলাদা আলাদা জেল রয়েছে। তাতে প্রায় ১২০০০ অপরাধী বর্তমানে শাস্তি কাটাচ্ছেন। তাদের মধ্যেই রয়েছেন হেমন্ত সোরেন সহ একাধিক বিরোধী দলের নেতৃত্ব। বর্তমানে আগামী ১৫ দিন পর্যন্ত তিহারেই কাটবে কেজরিওয়ালের দিন। নির্বাচনী প্রচারে ও অংশ গ্রহন করতে পারবেন না তিনি। সেই ক্ষেত্রে উনার সহধর্মিণী উনার হয়ে ময়দানে নেমে পূরণ করবেন শূন্য স্থান। ফলাফল অবশ্য ঠিক করবে ৪ঠা জুন।