Journalist Sujit attacked
রাতের আঁধারে নিরাপত্তা হীন আগরতলা, ৬ দুষ্কৃতির আক্রমনের শিকার সাংবাদিক সুজিত
গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ কতটা বিপদ গ্রস্থ তার আরও এক প্রমাণ মিলল । দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্যে কোথাও না কোথাও পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানা বিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন সংবাদ কর্মীরা। বাদ যাচ্ছে না ত্রিপুরা ও। পূর্বতন সরকারের আমলে সুদীপ শান্তনুর হত্যা কাণ্ডের ঘটনা আজো সজীব রাজ্যের সংবাদ জগতের সকলের মননে চিন্তনে। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাদের অপরাধী দের সাজা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবায়িত তা আজো হয়নি। উপরন্তু সাংবাদিকেরা বিভিন্ন জায়গায় আজো আক্রান্ত , নিপীড়িত। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে রাত বিরেতে শহরের বুকেই আক্রান্ত হতে হচ্ছে তাদের।
রাতের আঁধারে নিজের মেশাগত দায়িত্ব সেরে বাড়ি ফেরার পথে আরও একবার দুষ্ট চক্রের পাশবিক নির্যাতনের শিকার হলেন এক সাংবাদিক । সোমবার মধ্য রাতের আঁধারে শহর আগরতলায় সিদ্ধি আশ্রম এলাকায় আক্রান্ত হন সাংবাদিক সুজিত আচার্জী। এদিন রাতে আমতলী বাইপাস এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে নিজের পেশাগত দায়িত্ব শেষে বাড়ি ফেরার আগে মাল পত্র নিয়ে যাবার জন্য ঠিক করা এক গাড়ির চালকের জন্যে অপেক্ষা করছিলেন তিনি। তাঁকে বেশ কয়েকবার ফোন করলেও সময় মতো আসেনি। পরে এই সামান্য বিষয় নিয়েই গাড়ি চালকের সাথে তার বাক বিতণ্ডা হয়। পরক্ষনে তিনি ও তার সহকর্মীরা যখন যার যার বাইক নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তখন সিদ্ধি আশ্রম এর সম্মুখে আসতেই সেই গাড়ি চালক তার দলবল নিয়ে সুজিত আচার্যি কে পেছন থেকে ধাক্কা মেড়ে ফেলে দেয় এবং তাঁকে রড , বেল্ট দিয়ে বেধড়ক মারতে থাকে।
পরবর্তীতে দুষ্কৃতীদের আটক করতে সক্ষম হয় জনগণ । অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন সুজিত । অতঃপর আমতলী থানার পুলিশ সেই ৬ জন অভিযুক্ত কে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
অন্যদিকে দোষীদের কঠিন শাস্তির দাবী জানিয়ে আজ আমতলী থানার সামনে পথ আটকে বসে পড়েন ত্রিপুরা ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশানের সদস্যরা। ছিলেন প্রেস ক্লাবের প্রাক্তন সম্পাদক প্রনব সরকার ও। এসপি সাহেবের সাথে দেখা করা এবং দোষী দের কঠোর সাজা দেওয়ার দাবী জানান তারা ও।