Jitendra Choudhury Press Meet : মন্ত্রী সুধাংশু দাস ইতোমধ্যেই তাঁর সম্পত্তি পরিমাণ নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। অন্তঃদয় থেকে কিভাবে উনার ভাই রাজ্যের সর্বোচ্চ কর দাতা হয়ে উঠলেন এই নিয়েও বিধানসভায় বিরোধী শিবিরের কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাকে। সম্প্রতি আরও এক ভাইরাল ভিডিও তে দেখা যায় উনি স্বীকার করছেন যে কন্ট্রাক্টার দের কাছ থেকে নাকি উনি কমিশন নেন। এর পরপরই সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বিরোধী বাম শিবির সহ অভিযোগ কারী সকল কে কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে উনি নিজের মতো করে ব্যাখা দিয়েছিলেন।
কিন্তু এবার সুধাংশু দাসের ইটের বদলে পাটকেল ছুড়ে মেরেছেন বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। মন্ত্রী সুধাংশু দাস এর বিধায়ক হওয়ার আগের এবং তাঁর পরের উনার আর্থিক অবস্থা , স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব সব কিছুর এফিডেবিট তুলে ধরে আজ এক সাংবাদিক বৈঠক করেন বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী।
মন্ত্রী দাবী করেছিলেন উনি নাকি ২০১৪ সাল থেকেই কর প্রদান করছেন। কিন্তু উনার এফিডেবিট বলছে অন্য কথা। উনার মোট আয় যেখানে ২০১৮ সালের আগে ছিল ২ লক্ষাধিক টাকা, সেখানে ২০২৩ এর ভোটের আগেই উনার সেই ইনকাম ৭ লক্ষ ৯৬ হাজারের ও বেশি। যেখানে উনার সম্পত্তির পরিমাণ ২০১৮ এর আগে ছিল ১ লক্ষ ৮৭ হাজার ১০ টাকা , সেখানে ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে উনার সম্পত্তির পরিমাণ দাড়ায় ৪০ লক্ষ ৪০ হাজার ৩৯৯ টাকা।
এছাড়াও আরও বহু তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। একজন জন প্রতিনিধি জনসেবায় নিয়োজিত হয়ে মাত্র ৫ বছরে ৪০ লক্ষাধিক টাকা সম্পত্তির মালিক হয়ে যান। অন্যদিকে অন্তঃদয় রেশন কার্ড ধারী থেকে সোজা রাজ্যের সর্বোচ্চ কর দাতা হিসেবেও পরিচিতি লাভ করেন তাঁর নিজের বড় ভাই। এই সব কিছু নিয়ে যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল তাতে আজ এক প্রকার ফুল স্টপ বসিয়ে দেবার চেষ্টা করেছেন বিরোধী শিবির।
জিতেন্দ্র চৌধুরীই সর্ব প্রথম বিধানসভা অধিবেশন চলাকালিন এই প্রসঙ্গ নিয়ে মন্ত্রী কে কাঠগড়ায় দাড় করিয়েছিলেন। তাঁর পর থেকেই দুপক্ষের ঠাণ্ডা যুদ্ধ লেগেই রয়েছে। সম্প্রতি একটি সামাজিক গণ মাধ্যমে যখন মন্ত্রী সুধাংশু দাসের কমিশন গ্রহনের কথা প্রচার হতে শুরু হয় তখন থেকেই বিষয় টি আরও বেশি করে জেকে বসে। তবে কি মানুষের উন্নয়নের টাকা থেকে কমিশন ধার্য করেই এই বিশাল বিষয় সম্পত্তির মালিকানা লাভ করছেন মন্ত্রী বাহাদুর ? স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে।
এদিকে আজকের সংবাদ বৈঠকের পর মন্ত্রীর নামে যে দুটি এফিডেবিট প্রকাশ্যে আনা হয়েছে তাঁর তথ্য থেকেও যে বহু প্রশ্ন আপোষেই উত্থাপিত হচ্ছে তাতে সন্দেহ নেই। এখন দেখার বিষয়, বিরোধী দলনেতার এই তোপ এর মুখে পরে মন্ত্রী বাহাদুর কি স্পষ্টীকরণ দেন।



