. India Bangladesh Railway : আগরতলা আখাউড়া রেল পথের যাত্রা শুরু নিয়ে বাড়ছে সন্দেহ, বাংলাদেশের পরিস্থিতি প্রভাব ফেলতে পারে যোগাযোগে

India Bangladesh Railway

আগরতলা আখাউড়া রেল পথের যাত্রা শুরু নিয়ে বাড়ছে সন্দেহ, বাংলাদেশের পরিস্থিতি প্রভাব ফেলতে পারে যোগাযোগে

ভারত বাংলাদেশ কে এক সুত্রে বেঁধে রাখার অনবদ্য পরিকল্পনা আগরতলা আখাউরা রেল সংযোগ। ২০১০ সালে প্রথম এই পরিকল্পনা গৃহীত হয়। ২০১৫ সালে বাংলাদফেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সেখ হাসিনা এবং ভারত সরকার এই রেল পথ নির্মাণের চুক্তি সাক্ষর করেন এবং ভারচুয়ালি এই প্রকল্পের উদ্বোধন হয়। আগরতলা থেকে আখাউরা পর্যন্ত এই রেল পথ এর দূরত্ব দীর্ঘ ১২।২৪ কিমি। এই দীর্ঘ রেল পথ নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৯৭২.৫২ কোটি টাকা। এই রেল পরিষেবা চালু হলে একদিকে ভারত বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নত হবে, উত্তর পুরব ভারতের সাথে রেল পথে বাংলাদেশের সাথে যোগাযোগ স্থাপনে ত্রিপুরা হবে মেইন করিডোর, বারবে পর্যটক দের আনাগোনা, ত্রিপুরা থেকে কলকাতা যাতায়াত এর ক্ষেত্রে সাশ্রয় হবে সময়।
এই রেল পরিষেবা স্থাপনে ভারত ও বাংলাদেশের রেল দপ্তর যৌথভাবে কাজ করেছেন। আগরতলা মূল রেল স্তেশন থেকে প্রায় আরাই কিমি দুরত্বে নিসচিন্তপুরে নির্মিত হয়েছে রাজ্যের প্রথম আন্তর্জাতিক রেল স্টেশন। ২০২৪ এর শেষের দিকেই যার নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে এবং খু৮ব শীঘ্রই এই আন্তর্জাতিক রেল পরিষেবা চালু হতে পারে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
কিন্তু গত ৫ই আগস্ট ২০২৪ এর পর থেকে ভারত বাংলাদেশের সম্পর্কে যে আংশিক পরিবর্তন এসেছে তার প্রভাব পরতে পারে দুই দেশের যোগাযোগ মাধ্যমেও। তাই ত্রিপুরার সাথে বাংলাদেশের যে সমস্ত যোগাযোগ মাধ্যম রয়েছে তাতে ও কিছুটা ভাঁটা পরার সম্ভাবনা প্রবল। এক্ষেত্রে এই আগরতলা আখাউরা রেল পরিষেবা ও কবে নাগাদ চালু হবে, বা আদৌ চালু হবে কিনা , সেটাই এখন বড় প্রশ্ন ।

India Bangladesh Railway
কারন, একদিকে ভারত বিরোধী শ্লোগানে উত্তাল বাংলাদেশ। হাসিনা কে ভারত সরকার আশ্রয় দেওয়ায় এই বিক্ষোভ যেন আরও তুঙ্গে। এছারা হিন্দু বিরোধী জামায়াত ও কট্টর মৌলবাদীদের কারনে ও সেখান কার পরিস্থিতি অশান্ত। বহু হিন্দু নির্যাতনের শিকার। ভারতীয় পন্য বয়কটের ডাক উঠেছে। তার সাথে উত্তর পূর্বাঞ্চল কে বাংলাদেশের আয়ত্বে নেবার দুষ্ট পরিকল্পনা ও নেহাত কম চলছে না। এই অবস্থায় নতুন কোনো উন্নয়ন এর পথে এগোবার ইঙ্গিত দিচ্ছে না সেখানকার অন্তর্বর্তী কালীন সরকার। সুতরাং , ত্রিপুরা র সাথে বাংলাদেশের যে কটি যোগাযোগ মাধ্যম তৈরি হয়েছে তা চালু হবার ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা চোখে পরছে।

Leave A Reply