GRP police arrested more seven trespassers
ত্রিপুরা কে করিডোর করে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পাড়ি দেওয়া বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ কারীদের কাছে নিত্যদিনের পলিসি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সেটাই এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে ত্রিপুরা রাজ্যের সার্বিক সুরক্ষা ব্যবস্থার জন্যে দুশ্চিন্তার বিষয়।
রোজ কেউ না কেউ ধরা পড়ছে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করার অপরাধে। বিনা পাসপোর্ট, ভিসায় কাঁটা তারের বেড়া টপকে , কিছু স্থানীয় টাউটের মদতে অবাধে ত্রিপুরায় প্রবেশ করছে কিছু বাংলাদেশী। কখনো কখনো আবার সীমান্তে ও তাদের কিছু টাকার বদলে সুবিধে পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে রাজ্যে প্রবেশ করতেই প্রথমে তাদের মূল টার্গেট আগরতলা রেল স্টেশনের মারফতে এখান থেকে ভারতের অন্যান্য রাজ্যে প্রবেশ করা। আর সেখানেই রাজধানীর জিআরপি থানার পুলিশের তদারকি তে ধরা পড়ছে তারা।
বিগত এক মাসে ৪০ এর কাছাকাছি বাংলাদেশী পুলিশের জ্বালে ধরা পরেছে। তাদের নামে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা ও হচ্ছে। নিত্যদিনের খবর হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ঘটনা গুলো। তার পরেও এই ঘটনা গুলোর ক্ষেত্রে লাগাম টানতে হিমশিম খাচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। আর অন্যদিকে একের পর এক বাংলাদেশী অবৈধ অনুপ্রবেশিদের আটক করে নজির গড়ছে আগরতলা রেল পুলিশ।
চলতি মাসে বেশ অনেক গুলো মামলা হয়েছে এই একই বিষয়ে। গতকাল বিকেলে ও আরও ৭ জন বাংলাদেশী কে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছে জিআরপি থানা।
ধৃতদের মধ্যে ৪ জন মহিলা ও ৩ জন পুরুষ রয়েছে বলে খবর। তাদের আগরতলা রেল স্টেশন থেকে আটক করা হয়েছে এদিন। তারা অবৈধ উপায়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় যেতে চেয়েছিল ট্রেনে করে এমনটাই স্বীকারুক্তি দিয়েছে তারা। যে ৭ জন গ্রেফতার হয়েছে তাদের নাম ইব্রাহিম হোসেন বয়স ২৪ বাড়ি কালারোয়ায়, সফিকুল ইসলাম বয়স ৩২ বাড়ি সাতক্ষীরায় , মুসাম্মেদ সেলিনা বেগম বয়স ২২ বছর বাড়ি সাতক্ষীরায়, এমডি শিমুল হোসেন বয়স ২৮ বছর বাড়ি সাতক্ষীরায় , নুর নাহার ঝুমা বয়স ২৩ বছর বাড়ি পাবনা, তাস্লিমা খানুম বয়স ২৪ বছর বাড়ি নারাইল এবং মিনু খাতুন বয়স ১৯ বছর , বাড়ি খুলনা জেলায়।