DYFI Book Fair : ত্রিপুরার ছাত্র-যুব ভবনে এক অনন্য উদ্যোগে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী বই উৎসব। নও জওয়ান ভারত সভার ১০০ বছর পূর্তি এবং ডিওয়াইএফআই-এর ৪৬তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই উৎসবের সূচনা হয় শুক্রবার, প্রাক্তন টিপিএসসি চেয়ারপার্সন অধ্যাপিকা আলপনা সেনগুপ্তর হাত ধরে। সমাজচেতনা, বিজ্ঞানমনস্কতা এবং প্রগতিশীল মূল্যবোধের বিকাশের উদ্দেশ্যেই এই বই উৎসবের আয়োজন বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভাপতি পলাশ ভৌমিক, রাজ্য সম্পাদক নবারুণ দেব, রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শুভ চক্রবর্তী, জিরানিয়া বিভাগীয় কমিটির সভাপতি অসীম সরকার ও সম্পাদক রাহুল ধরসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা।
উদ্বোধনের দিনেই অনুষ্ঠিত হয় এক রক্তদান শিবির, যেখানে বহু স্বেচ্ছাসেবী অংশ নেন। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার বার্তা দিয়েই বই উৎসবের সূচনা ঘটে। এ ধরনের কর্মসূচি সমাজে সহমর্মিতা ও ঐক্যের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে বলে মত প্রকাশ করেন অতিথিরা।
এদিনের অনুষ্ঠানে সংবাদ মাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক নবারুণ দেব বলেন, “কিছুদিন আগে উৎসবের মধ্যে বিজেপির কর্মীরা আমাদের বইয়ের স্টল ভেঙে দিয়েছিল। সেই দুঃখ, সেই বেদনা আমাদের ভিতরেই রয়ে গেছে। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, প্রতিবাদের মাধ্যম হিসেবে আমরা এভাবেই আমাদের বই উৎসব পালন করব। এই উৎসবই আমাদের জবাব। আর আমরা সময়টা খুব ভালোভাবে বেছে নিয়েছি, যাতে সমাজ বুঝতে পারে—চিন্তা ও পাঠচর্চা কখনও রোখা যায় না।” তাঁর এই বক্তব্যে উপস্থিত যুব সমাজে প্রবল উচ্ছ্বাস দেখা যায়।
উৎসব প্রাঙ্গণে বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থা, স্থানীয় লেখক এবং পাঠকদের অংশগ্রহণে এক প্রাণবন্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আগামী তিন দিন ধরে চলবে নানা কর্মসূচি।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই বই উৎসবের মাধ্যমে তারা সমাজে পাঠাভ্যাস ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি প্রগতিশীল ও মানবিক চিন্তার বিস্তার ঘটাতে চান।
ত্রিপুরার সাংস্কৃতিক ও সমাজচিন্তার ইতিহাসে এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। রক্তদান, পাঠচর্চা এবং সামাজিক বার্তার এই সম্মিলিত উৎসব ডিওয়াইএফআই-এর আদর্শ ও কাজের পরিধিকে নতুন মাত্রা দিয়েছে।



