DM Bishal Kumar

হাওড়া নদীর জলের স্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।  বাড়ি ঘরে ঢুকে পড়েছে জল। পশ্চিম জেলায় খোলা হয়েছে ১০ টি শরণার্থী শিবির। এই শিবির গুলিতে এখনো পর্যন্ত ২৮০ জন আশ্রয় নিয়েছেন। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন পশ্চিম জেলার জেলা শাসক ডক্টর বিশাল কুমার।
মঙ্গলবার ভোর রাত থেকেই হাওড়া নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।রেমেলের প্রভাবে সোমবার টানা বৃষ্টিতে গোটা পশ্চিম জেলা সহ তেলিয়ামুড়া মহাকুমাতে অতি ভারী বর্ষণ হয়েছে। যার কারণে পাহাড় থেকে জল নামতে শুরু করতেই জল বাড়তে শুরু করে হাওড়া নদীতে। কিছুক্ষণের মধ্যেই নদীর জল প্রবেশ করে শহর আগরতলার সমতল এলাকাগুলোতে। যার ফলে ধীরে ধীরে জল বাড়তে শুরু করে আগরতলা শহরের খয়েরপুর,কাশিপুর,বলদাখাল, শ্রীলঙ্কাবস্তি, চন্দ্রপুরের মতো নিম্নাঞ্চল গুলোতে। তবে এই জলমগ্ন এলাকা গুলোর উপর প্রশাসনিক নজর রয়েছে বলে জানালেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাশাসক ডক্টর বিশাল কুমার। এদিন তিনি বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত খবর অনুযায়ী ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে হাওড়ার নদীর জল। ফলে মানুষের বাড়ি ঘর জলমগ্ন। তাদেরকে ত্রান শিবিরে নিয়ে যেতে প্রসাশনের তরফ থেকে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নামানো হয়েছে রেসকিউ টিম, এবং নৌকো। জেলাশাসকের বক্তব্য অনুযায়ী ,ভারী বৃষ্টির ফলে আগরতলা শহরের বলদাখাল, শ্রীলঙ্কাবস্তি, চন্দ্রপুরের মতো নিম্নাঞ্চলগুলো ইতিমধ্যে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। হাওড়া নদীর জলের স্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।  বাড়ি ঘরে ঢুকে পড়েছে জল। নিরুপায় হয়ে মানুষ আশ্রয় নিচ্ছে শরণার্থী শিবিরে। পশ্চিম জেলায় খোলা হয়েছে ১০ টি শরণার্থী শিবির। এই শিবির গুলোতে সন্ধ্যে পর্যন্ত ২৮০ জন আশ্রয় নিয়েছেন। এদিন তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় রাজ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ত্রিপুরায় বহু জায়গায় বিদ্যুতের লাইন সহ বড় বড় গাছ উপড়ে পড়েছে। বড় বড় গাছ উপড়ে পড়ার কারণে বিদ্যুতের সমস্যা দেখা গিয়েছে। পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য বিদুৎ কর্মীরা সারাইয়ের কাজ করছেন যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এদিন তিনি আরও বলেন, গাছ উপড়ে পড়ার কারণে কয়েকটি বাড়িঘরের ক্ষতি হয়েছে। প্রসাশনের তরফ থেকে সমীক্ষা করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে প্রসাশনের তরফ থেকে আর্থিক সহায়তা করা হবে।

Leave A Reply