BJP spokesperson denies child sale complaint

সন্তান বিক্রি নিয়ে বিরোধীদের দাবিকে খন্ডন করে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন প্রদেশ বিজেপি প্রবক্তা অস্মিতা বণিক। কোন সন্তান বিক্রি হয়নি। এক্ষেত্রে বাম কংগ্রেস বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে বলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করলেন তিনি।
গন্ডাছড়ায় কোন শিশু বিক্রি হয়নি, শিশুটির মা মুড়মুড়ি ত্রিপুরা পরিস্থিতির শিকার হয়ে শিশুটিকে হস্তান্তর করেছিলেন এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে। তবে প্রশাসনিকভাবে সেই শিশুটিকে আবারো ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে তার মায়ের কোলে। কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে নানা ধরনের জিগিড় তুলেছে সিপিআইএম ও কংগ্রেস। সাংবাদিক সম্মেলনে এই দাবি করলেন প্রদেশ বিজেপি নেত্রী তথা প্রবক্তা অস্মিতা বণিক। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়াতেও মানুষজনকে শান্তি দিতে চায় না সিপিএম ও কংগ্রেস। তাই পৃথক পৃথক সাংবাদিক বৈঠক করে তারা রবিবারে পাহাড়ে হাহাকার চলছে, অর্থের জন্য সন্তান বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে মিথ্যে অভিযোগ তুলেছে। এক্ষেত্রে তার দাবি, ধলাই ত্রিপুরা রাজ্যের একটি পিছিয়ে পড়া জেলা। এই জেলার সার্বিক উন্নয়নে সরকারের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই সদর্থক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আর সেটাই সহ্য হচ্ছে না বাম কংগ্রেসের। তাই বিভ্রান্তি ছড়াতে মিথ্যাচার শুরু করেছে তারা। সোমবার বাম কংগ্রেসের তোলা সন্তান বিক্রি বিষয়ে বিরোধীদের দাবিকে খন্ডন করে বিজেপি প্রবক্তা অস্মিতা বণিক
আরো বলেন, এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই, বিজেপির গন্ডা ছড়া এমডিসি ভূমিকানন্দ রিয়াং মুড়মুড়ি ত্রিপুরার বাড়িতে গিয়ে বিষয়টা নিয়ে সরেজমিনে খোঁজখবর নিয়েছেন। তিনি বাম এবং কংগ্রেসের অভিযোগের সত্যতা সেখানে খুঁজে পাননি। তবে মুড়মুড়ি ত্রিপুরা এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে তার এক দিনের শিশুটিকে হস্তান্তর করেছিলেন সে বিষয়ে সত্যতা রয়েছে। কারণ বিনয় দেববর্মা নামে ওই ব্যক্তি এবং তার স্ত্রী এই শিশু কন্যাটিকে দত্তক নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সন্তান হস্তান্তরের সময় কোন আইনি প্রক্রিয়া মানা হয়নি। তাছাড়া অর্থ বিনিময়ের মাধ্যমে সন্তান হস্তান্তর করা হয়েছে এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। অস্মিতা বণিকের দাবি, যে কন্যা সন্তানটিকে হস্তান্তর করা হয়েছিল সেটি মুড়মুড়ি ত্রিপুরার ষষ্ঠ সন্তান। তার বড় ছেলে বেঙ্গালুরুতে কর্মরত রয়েছে। দ্বিতীয় কন্যা সন্তানের বিয়ে হয়ে গেছে। তাছাড়া বাকি তিন সন্তান লেখাপড়া করছে। এদিকে আবার বিগত ছয় মাস আগে তার স্বামী পূর্ণ জয় ত্রিপুরা বিষপানে আত্মঘাতী হয়েছেন। এই অবস্থায় গর্ভের সন্তানকে চাননি মুড়মুড়ি ত্রিপুরা। কিন্তু গর্ভপাত করার সময় পেরিয়ে যাওয়ায়, চিকিৎসকরা গর্ভপাতে রাজি ছিল না। বাধ্য হয়েই সরকারি হাসপাতালে ২২ মে মুড়মুড়ি ত্রিপুরা তার ষষ্ঠ সন্তানের জন্ম দেন। তবে প্রশাসনকে না জানিয়ে মুড়মুড়ি ত্রিপুরা তার নবজাতিকাকে হস্তান্তর করে দিয়েছিলেন। তবে এই খবর জানাজানি হতেই প্রশাসনিক সৎপরতায় শিশুটিকে আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয় তার মায়ের কোলে। মুড়মুড়ি ত্রিপুরা অভাবে রয়েছেন সেটা অবশ্য স্বীকার করলেন অস্মিতা বণিক। এক্ষেত্রে তাকে রেশন সামগ্রী প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া মুড়মুড়ি ত্রিপুরার বাকি সন্তানদের মিশন বাৎসল্য প্রকল্পে তাদের স্কুলে যাওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে প্রশাসন। ছাড়াও যাতে মুড়মুড়ি ত্রিপুরা বিধবা ভাতা পান তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিনের এই সাংবাদিক বৈঠকে প্রদেশ মহিলা মোর্চার সহ সভানেত্রী রিনা ঘোষ সহ বিজেপি রাজ্য মিডিয়া ইনচার্জ সুনীত সরকারও উপস্থিত ছিলেন

Leave A Reply