Dhaleswar Arun Ghosh : জিরানিয়া রেল স্টেশনে কোটি টাকার ফেন্সিডিল উদ্ধার কাণ্ডে বিশালগড়ের পর এবার আগরতলা ধলেশ্বর স্থিত এক ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিলো ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
উল্লেখ্য, গত ১৬ই অক্টোবর সন্ধ্যা নাগাদ জিরানিয়া রেল স্টেশনে একটি রেল যোগে আসে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকার নেশা সামগ্রী ফেন্সিডিল। বেনামী এই মাদকের মালিক কে ? সেই প্রশ্নের জবাব এখনো পাওয়া যায়নি।
রাজ্য সরকার ও এই নিয়ে সরাসরি কোনো ধরণের প্রতিক্রিয়া জানায় নি। অন্যদিকে পুলিশ এর তদন্ত চললেও প্রায় সপ্তাহ খানেক চলে গেছে কিন্তু গ্রেফতারী শূন্য। ছোট খাটো ছিচকে নেশা কারবারি বা পাচার কারী দের ধরতে যেখানে পুলিশের এক দণ্ড সময় লাগে না সেখানে এতো বিপুল পরিমান নেশা সামগ্রী রাজ্যে এলো অথচ এর সাথে জড়িত কাউকেই ধরতে পারছে না পুলিশ, এটা অত্যন্ত সন্দেহের বিষয়।
এক প্রকার ঘোলা জলে মাছ ধরার মতো এদিক ওদিক হানা দিচ্ছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও এন্টি নারকোটিক বিভাগ। বিশালগড়ে ভুট্টোর বাড়িতেও রাতের আঁধারে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু কিছুই পাওয়া যায়নি।
আজ ২৩শে অক্টোবর বৃহস্পতিবার ক্রাইম ব্রাঞ্চের এন্টি নারকোটিক শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৌভিক দে’র নেতৃত্বে আরও এক তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। এবারের অভিযান টি হয় আগরতলার ধলেশ্বর এলাকায়।
এদিন ধলেশ্বর ১০ নম্বর দেবেন্দ্র রোড এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা তথা ট্রান্সপোর্ট এর নামী ব্যবসায়ী অরুণ ঘোষের বাড়িতে হানাদাড়ি চলে পুলিশের। যদিও এই তল্লাশি অভিযানে কিছু পাওয়া গেছে কিনা সেই তথ্য খবর লেখা অব্দি আমাদের কাছে এসে পৌছায় নি।
অন্যদিকে এই তদন্ত কতদিন চলবে কিংবা এর সাথে জড়িত রাঘব বোয়ালেরা আদৌ ধরা পরবে কিনা সেই নিয়েও বাড়ছে সংশয়। বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন এই নেশা কারবারের সাথে রাজ্য সরকারেরই কে বা কাহারা জড়িত রয়েছে। তাই এখনো কাউকেই ধরা যাচ্ছে না। অন্যদিকে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর এলাকা তে এতো বড় ঘটনা ঘটে গেলেও এখনো এই নিয়ে উনার কিংবা রাজ্য সরকারের কারো কোনো প্রতিক্রিয়া না মেলায় বিতর্ক চরমে পৌঁছে গেছে।
এখন দেখার বিষয় এই বিপুল পরিমাণ নেশা কারবারের পেছনের রহস্য উন্মচনে কত সময় লাগে এবং পুলিশ নিরপেক্ষতার সাথে এর তদন্ত করে কিনা।



