Pre-poll survey of BJP vote margin at UP
জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে প্রতিবারের মতোই এবারের লোকসভা নির্বাচনের পূর্বেও একটি প্রি-পোল সার্ভে করা হয়েছে। বিশেষ করে উত্তর প্রদেশের একটি সার্ভে থেকে যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তা দেখে উত্তর প্রদেশে বিজেপির অবস্থা নাজেহাল বলেই দাবী করা হচ্ছে।
লোকসভা নির্বাচন কে কেন্দ্র করে সাড়া দেশব্যাপী প্রত্যেক দল জোরদার প্রস্তুতি চালাচ্ছে। উত্তর প্রদেশেও বিজেপি এবং ইন্ডিয়া জোট এর জোরালো প্রচার চলছে। লোকসভা নির্বাচনের একেবারে প্রাক মুহূর্তে তড়িঘড়ি করে উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় অর্ধনির্মিত রাম মন্দিরের উদ্বোধন করেছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। হয়তো লোকসভা নির্বাচনে দল কে খানিকটা মাইলেজ পাইয়ে দেওয়াটাই ছিল মূল কারণ। কিন্তু সার্ভে তে যে তথ্য উঠে এসেছে তার উপর ভিত্তি করে বোলা যায় বিজেপির এই পরিকল্পনা অনেকাংশেই ব্যর্থ হয়েছে।
সিএসডিএস এর সার্ভে থেকে দেখা যাচ্ছে উত্তর প্রদেশের জনগণের দৃষ্টি ভঙ্গীতে বেকারত্ব এবং মূল্যস্ফীতি সবচাইতে বৃহৎ সমস্যা। যা নিয়ে বিএজপি এনডিএ সরকারের কোথাও কোনোরূপ বক্তৃতা ভাষণ কিছুই নেই।
বিগত বেশ একটা দীর্ঘ সময় ধরে দেশে বিজেপি সরকার শুধুই ধর্ম, হিন্দু, মুসলিম, হিন্দু রাষ্ট্র , রাম মন্দির, অযোধ্যা ইত্যাদি বিষয় গুলো নিয়েই চর্চা করে চলেছেন। কিন্তু বেকারত্ব সমাধানে কি কি করেছে এই ১০ বছরে বিজেপি সরকার সেই বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। কোনো আলোচনা নেই।
সিএসডিএস এর সার্ভে তে দেখা যাচ্ছে উত্তর প্রদেশে প্র্য ২৭% মানুষ বেকারত্ব কে সমর্থন জানিয়েছেন। তাছাড়া ২৩% লোক মুল্যস্ফিতির সমস্যায় মোহর লাগিয়েছেন। অর্থাৎ প্রায় ৫০% ভোটার এর কাছে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা গুলি হচ্ছে এই দুটি। যা নিয়ে রীতিমতো নীরব মোদী সরকার। সার্ভে থেকে অবশ্য তথ্য পাওয়া যাচ্ছে যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ আনুমানিক ৫২% ভোট পেতে পারে উত্তর প্রদেশে এবং ইন্ডিয়া জোট পেতে পারে ৪০% ভোট। ভোটের হিসেবে তেমন কোনো বড় ফারাক চোখে না পরলেও ভোটের মার্জিন কমতে পারে বিজেপির।
প্রথম দফায় সারাদেশে ১০২টি আসনে নির্বাচন হবে। একইসঙ্গে প্রথম দফায় উত্তর প্রদেশের ৮টি আসনে ভোট হবে। এর মধ্যে রয়েছে সাহারানপুর, কাইরানা, মুজাফফরনগর, বিজনোর, নাগিনা, মোরাদাবাদ, রামপুর এবং পিলিভীত আসন।