Crime increase in BJP rulled Tripura

সব অপরাধের পেছনেই কেন জড়িয়ে থাকে

শাসক বিজেপি দলের নাম ?

রাজ্যে দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে অপরাধের মাত্রা। চুরি ডাকাতি , খুন, ধর্ষণ, মারধোর , অত্যাচার এর ঘটনা একটা নিত্যদিনের রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে আশ্চর্যের বিষয়, এই ঘটনাগুলো যদি ১০০ টা ঘটে তবে তার মধ্যে ৯০ টি ঘটনার পেছনেই জড়িয়ে থাকে শাসক বিজেপি দলীয় নেতা কর্মী কিংবা পঞ্চায়েত প্রধান দের নাম। কেন ? যে কোনো অপরাধ মূলক ঘটনার পেছনে বিজেপির ট্যাগ কেন লাগানো থাকে ? কারণ তাদের মধ্যে পুলিশের ভয় নেই। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা চরম ভাবে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। শাসক দলের নাম শুনলেই থানায় নেওয়া হচ্ছে না মামলা। আবার মামলা হাতে নিলেও , গ্রেফতার হচ্ছে না দোষীরা। কারণ তারা রাস্ত্রবাদি দলের লোক। এরকমই এক ঘটনার শিকার হয়েছেন একই পরিবারের দুই জন লোক।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ১১ই নভেম্বর আমতলী থানার অন্তর্গত কাঞ্চনমালা বাজার সংলগ্ন ৪ নং ওয়ার্ডের এক মহিলা সহ তার দেবরকে অকারনেই আচমকা বিশ্রী গালি গালাজ করে তাদের বাড়িতে ঢুকে মারধোর ও শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করে দুই বর্বর যুবক। যারা নাকি ঐ এলাকার পঞ্চায়েতের শাসক দল সমর্থিত পঞ্চায়েত মেম্বার। তাদের নাম সেখর দেবনাথ ও টুটন দেবনাথ বলে জানিয়েছেন নির্যাতিত রা।

ঘটনার দিন নির্যাতিতা বৌদি এবং ওনার দেবর আমতলী থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিলেও অভিযুক্ত দুই ব্যক্তির বাধার সম্মুখীন হতে হয় তাদের। ঘটনার পরদিন অর্থাৎ ১২ই নভেম্বর নির্যাতিত বৌদি এবং দেবর আমতলী থানায় লিখিত আকারে মামলা দায়ের করে। কিন্তু আমতলী থানার পুলিশ শাসক দলের নাম শুনতেই যেন পিছু পা হয়ে যায়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টে ঐ পঞ্চায়েত সদস্য সহ তার ভাইকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠে। শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্য সহ তার ভাইয়ের হাতে আক্রান্ত হয়ে বৌদি এবং দেবর থানায় মামলা দায়ের করার পরেও পুলিশ যখন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তখন নির্যাতিতা বৌদি এবং দেবর শনিবার দুপুরে রাজ্য পুলিশ সদর কার্যালয়ে পশ্চিম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করে সুবিচারের দাবি জানালেন। ঘটনার আজ এতদিন হয়ে গেলেও আমতলী থানার পুলিশ এই ঘটনায় কোন মামলা পর্যন্ত নথিভুক্ত করেনি। পরে পুলিশের এই কর্মকান্ডের কথা জানতে পারে নির্যাতিত মহিলা সহ উনার দেবর। বাধ্য হয়ে শনিবার দুপুরে ওই মহিলা সহ উনার দেবর রাজ্য পুলিশের সদর কার্যালয়ে পশ্চিম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে ঘটনার সম্পূর্ণ তথ্য তুলে ধরেন এবং এই ঘটনার অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। সঙ্গে সঙ্গেই জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমতলী থানার পুলিশকে করা নির্দেশ দেন এই ঘটনায় যেন খুব শীঘ্রই মামলা নথিভুক্ত করে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনা হয়।
এবার রাজ্যের বিজেপি সরকারের দলদাসে পরিণত আমতলী থানার পুলিশ বাবুরা কি আদৌ উপর মহলের নির্দেশ কে মান্যতা দিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত চালাবেন ? আর যদি করেন ও তবুও কি অপরাধী দের মোটা অঙ্কের বদলে ছেড়ে দেবেন না তারা ? আমতলী থানার পুলিশ বাবুদের বিরুদ্ধে এমনিতেই অভিযোগের পাহাড় রয়েছে। শাসক দলের নাম শুনলেই নাকি তাদের গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়। অন্যদিকে মোটা অঙ্কের লেনদেন সেরে এমন বহু মামলা তদন্ত ছাড়াই মিমাংশা করিয়ে দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে এদের বিরুদ্ধে। এবার দেখার বিষয় হচ্ছে রাস্ত্রবাদি দলের ভয়ে পুলিশ তাদের কর্তব্যে গাফিলতি জারি রাখে নাকি দোষীদের আইনের আওতায় এনে নির্যাতিত দের বিচার পাইয়ে দেয়।

Leave A Reply