cpim joining continues: বাম শিবিরে শক্তি সঞ্চয়, বিজেপি মথার ভাগ্যে জুটবে না ভোট আগামী নির্বাচনে

Khabare Pratibad
4 Min Read

cpim joining continues

বাম শিবিরে শক্তি সঞ্চয়, বিজেপি মথার ভাগ্যে জুটবে না ভোট আগামী নির্বাচনে

রাজ্য ত্রিপ্রা মথায় কি নামতে চলেছে ধ্বস ? মহারাজা প্রদ্যুতের দল ছাড়ার হিড়িক দেখা যাচ্ছে তিপ্রাসাদের মধ্যে।
দিকে দিকে লালের শ্লোগান, লাল পতাকার ঝড় , প্রত্যেক দিন বিভিন্ন দল ছেড়ে বাম শিবিরে যুক্ত হচ্ছেন ত্রিপুরার অগণিত ভোটার। যুক্ত হচ্ছেন তাদের পরিবার , পরিজন এবং আশেপাশের মানুষ জন ও। যা দেখে এবার ক্রমশই পায়ের তোলার মাটি খসে পরে যাচ্ছে ত্রিপুরা বিজেপি ও তার শরিক তিপ্রা মথার।

মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে তিন তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি ও তিপ্রা মথা ছেড়ে সিপিআইএম দলে যোগ দিলেন বেশ অনেক জন ভোটার। উল্লেখযোগ্য বিষয় তাদের মধ্যে বেশিরভাগ ই তিপ্রা মথা ছেড়ে এসেছেন। মানে বুবাগ্রা প্রদ্যুত মানিক্যের আনারস চিহ্নের তিপ্রা মথা দল থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছেন তারা।
যার অর্থ প্রদ্যুত মানিক্যের ঠুনকো প্রতিশ্রুতির উপর থেকেও ভরসা উঠে গেছে তাদের। পাহাড়ে প্রদ্যুত মানিক্য যে বিভ্রান্তি ছারাবার চেষ্টা করেছিলেন তা ক্রমশই ম্লান হতে শুরু করেছে। গ্রেটার তিপ্রা ল্যান্ডের দাবী ও যে কেবল মাত্রই মঞ্চের ভাষণ অব্দি সীমাবদ্ধ তাও বুঝে গেছেন তারা।

গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই করবুক চেলাগাং এ তিপ্রা মথা ছাড়লেন ২৪-জন ভোটার এবং হাতে তুলে নিলেন লালঝান্ডা।।
সে করবুক যার ক্ষমতায় আসীন খোদ তিপ্রা মথা দলের বিধায়ক সঞ্জয় মানিক ত্রিপুরা। ২০২৩ সালে তিপ্রা মথা পার্টি থেকে জয়ী হন তিনি। কিন্তু বিগত এক বছরে কি কাজ করেছেন করবুকে ? কোনো তথ্য নেই। বিধায়কের উপর হতাশা, দলের সুপ্রিমোর মিথ্যে প্রতিশ্রুতি সমস্ত কিছুর দৌলতে এবার দল থেকেই বিদায় নিচ্ছেন ভোটার রা। । আর তারা এবার বাম দলেই ভরসা টিকিয়ে রাখতে প্রস্তুত ।

অন্যদিকে গোমতী জেলাধিন অমরপুর মহকুমার জোলাইবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্র যেখানে আইপিএফটি দলের বিধায়ক শুক্লা চরণ নোয়াতিয়ার রাজত্ব, সেই কেন্দ্র থেকে একযোগে ৩৫ জন ভোটার দল বদলে বাম শিবিরে ভিড়ে গেছেন।
সেখানে বিজেপি এবং তিপ্রা মথা উভয় দলই ছাড়লেন ৩৫ জন ভোটার এবং হাতে তুলে নিলেন লালঝান্ডা।
জোলাইবাড়ী বিধানসভার কোয়াইফাং অঞ্চলের নাথ পাড়ার ৩৫ জন বিজেপি ও তিপ্রা মথার নেতা কর্মী CPIM-এর সমর্থনে কাজ করার ঘোষণা দিয়ে হাতে তুলে নিলেন লালঝান্ডা।

রাজ্যে গেঁড়ুয়া শিবির কোটি কোটি টাকা খরচ করে যেখানে ট্যুরিজম এর প্রোমো ফেস্ট আর স্রেয় ঘোষাল কনসার্ট এর আয়োজন নিয়ে ব্যাতিব্যস্ত, সেই ক্ষণে রাজ্যের দুঃস্থ , গরীব , নিপীড়িত , বেকার , অসহায় মানুষদের হয়ে আওয়াজ তুলে মানুষের মনে আরও একবার জায়গা করে নিচ্ছে বামেরা। বন্যায় কবলিত মানুষেরা যেখানে আজো উঠে দাঁড়াবার সাহস যুগিয়ে উঠতে পারছে না সেখানে কোটি কোটি টাকা তাদের সাহায্যার্থে খরচ না করে হাজার হাজার মানুষ কে মনোরঞ্জন দিতে খর্চা করছে রাজ্য বিজেপি। আর এটাই এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে শাসক বিজেপির সব চাইতে বড় দুর্বলতা । বাম আমলে শ্রেয়া ঘোষালএরা রাজ্যে না এলেও রাজ্যের শিল্পীরা রোজগারের মাধ্যম পেতেন। আজ তারাও বঞ্চিত। আর এই প্রতিটা বিষয় কে দারুন ভাবে মোদ্দা করেছে বামেরা। রাজ্যে বিগত ৬ বছরে বিজেপির শাসন ও পরিচালন ধারা কে অনুধাবন করে ক্ষণ আর মানুষ তাদের গ্রহন করছে না। বেশিরভাগই ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার কে রেড ফ্লেগ দেখাচ্ছে, । কারণ ত্রিপুরায় সার্বিক উন্নয়ন ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে একমাত্র বিকল্প বামেরাই ,এটাই বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন রাজ্যের মানুষ। যার প্রমাণ দিচ্ছে বাম শিবিরে নিরন্তর হয়ে চলা যোগ দান।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *