BJP will fall by the hands of BJP
গ্রামের প্রধান উপপ্রধান , এমনকি গোমতী জেলা কমিটির এক বিজেপি নেতা এক গরীব স্বদলীয় কর্মীর বাড়ি ঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিল ড্রজার দিয়ে। মারধোর করা হয় বাড়ির গৃহিণী এবং ছেলে কে। আবারো কতিপয় বিজেপি নামধারী নেতার নিন্দনীয় কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনার মুখে রাজ্য বিজেপি।
রাষ্ট্রবাদী নেতা তথা বিজেপি নেতাদের কুনজর পরেছে এবার স্বদলীয় এক পরিবারের উপরেই। ড্রজার চালিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বসত ভিটে। গৃহহীন হয়ে পড়েছেন আরেক রাষ্ট্রবাদী দুস্থ পরিবার।
ঘটনা অমরপুর আরডি ব্লকের অন্তর্গত ডালাক এলাকায়। ঘটনার বিবরনে প্রকাশ দীর্ঘবছর যাবত ডালাক গ্রাম পঞ্চায়েতের ডালাক বাজারের পাশেই পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন নেপাল সরকার। কিছুদিন পূর্বে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর বরাদ্দ করা হয় নেপাল সরকারকে। যথারীতি যে বাড়িতে দীর্ঘবছর বসবাস করছে সেই বাড়িতেই ঘর তৈরী শুরু করেন তিনি। ঘর যখন প্রায় শেষ পর্যায়ে তখনই তার উপর নজর পরে রাষ্ট্রবাদি নেতাদের। সরকারি জায়গা এবং নতুন রাস্তা তৈরী করার অজুহাতে শুক্রবার সকাল 9টা নাগাদ গেঁড়ুয়া রামাবলি গায়ে জড়ানো বিজেপি গোমতি জেলা কমিটির নেতার ইন্ধনে ডালাক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান, মেম্বারদের উপস্থিতিতে বুলড্রজার চালিয়ে নেপাল সরকারের থাকার একমাত্র ঘরটি ভেঙ্গে ফেলা হয়।
বাধা দিতে আসলে নেপাল সরকারের স্ত্রীকে পর্যন্ত মারধর করে প্রধান উপ্রধান এমনটাই অভিযোগ করেন নেপাল সরকারের স্ত্রী এবং ছেলে। পরবর্তী সময় ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যায় বীরগঞ্জ থানার পুলিশ সহ অমরপুর মসকুমা শাষক অফিসের আধিকারিকরা।
প্রশ্ন হচ্ছে যদি ঐ জায়গাটি সরকারি জায়গা হয়ে থাকে তাহলে কিভাবে সরকারি ঘর তৈরির অনুমতি দিল পঞ্চায়েত ? কিভাবেই বা জিও ট্রেকিং করা হলো ঘরের? আর যদি সরকারি জায়গায় ঘর তৈরী হয় তাহলে কেন ভাঙ্গার আগে কোনো ধরনের নোটিশ দেওয়া হয়নি বাড়ির কর্তাকে? তাহলে সবটাই কি বিজেপি নেতা এবং প্রধান উপপ্রধানের ব্যক্তিগত লোভ লালসা পূর্তির জন্যে হয়নি ? এই ঘটনা নিয়ে পুরো গ্রাম জুড়ে ছিছি রব উঠেছে পাশাপাশি ক্ষোভে ফুসছেন উক্ত এলাকার বিজেপি সমর্থিত সাধারন কর্মীরাও। কারন যখন সারা রাজ্য বিজেপি শূন্য ছিল এমনকি ডালাক এলাকায় ও বিজেপির হাতেগুনা কর্মী ছিল তখন থেকেই পার্টির পেছনে ঘুরছে পুরো পরিবার। সবার মনে একটাই প্রশ্ন দুসঃময়ের কর্মীদের সাথে যদি দলের নেতারা এমন আচরন করতে পারে তাহলে বাকিদের কি অবস্থা হবে? ঘুরে ফিরে আবারো একটাই ইঙ্গিত বহন করছে এই ঘটনা, যে রাজ্যে পুরাতন বিজেপি কর্মীদের কে পদতলে পিষ্টে নবাগতরাই নিজেদের রাজত্ব কায়েম করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আর এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেই রাজ্য স্তরের নেতৃত্বের । যা আগামী দিনে বিজেপির পতনের অন্যতম কারণ হয়ে দাড়াতে পারে বলেই ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।