Bishalgarh Minority Cell : ত্রিপুরা বিজেপির একের পর এক নেতা বর্গের নানা বিধ কুকীর্তি প্রায়শই খবরের পর্দার মধ্যে দিয়ে নজর কেড়েছে মানুষের। বিরোধী দল ও বাদ পড়েছে এমনটা নয়। তবে সংখ্যাটা তুলনামূলক ভাবে শাসক বিজেপির দিকেই বেশি।
এবার বিজেপি মণ্ডল সংখ্যা লঘু মোর্চার সভাপতির পরকীয়া কাণ্ডের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই জোর চাপে পরে যান সভাপতি। আর ২৪ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হবার আগেই সাংবাদিক সন্মেলন ডেকে নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সভাপতি।
উল্লেখ্য, রবিবার ১৪ই সেপ্টেম্বর, সামাজিক মাধ্যমে এবং গনমাধ্যমে বিশালগড় মণ্ডল সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি ফেরদৌস মিয়ার সাথে এক মহিলার অন্তরঙ্গ কিছু ছবি ভাইরাল হয়ে পরে। ফেরদৌস নিজেও বিবাহিত এবং সূত্রের খবর যে মহিলার সাথে তার এই ছবি ভাইরাল হয় ঐ মহিলা ও বিবাহিত। তার স্বামী বিদেশে কর্মরত ছিল বলে জানা যায়। এদিকে মহিলার সাথে দীর্ঘ দিন যাবত পরকীয়ায় লিপ্ত ছিল ফেরদৌস। অতঃপর কোনো ভাবে তাদের দুজনের এই ছবি গুলো ভাইরাল হয়ে পরতেই ব্যক্তিগত জীবন তো বটেই তার পাশপাশি রাজনৈতিক দিক থেকে ও চাপে পরে যায় ফেরদৌস।
উল্লেখ্য, বিশালগড় এর চর্চিত বিধায়ক সুশান্ত দেব এর সাথে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে ফেরদৌস এর। তার এই কুকর্মে বিধায়ক এর ও সন্মান হানী হতে পারে, এই আশঙ্কা থেকেই অবশেষে পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছে ফেরদৌস, এমনটাই সাংবাদিক দের নিজেই জানিয়েছে সে।
তবে , এর সাথে সিপিআইএম কংগ্রেস এর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেও অভিযোগ তার। কিছুদিন পূর্বে বিশালগড় অফিসটিলায় সিপিআইএম এর দলীয় কার্যালয়ে ঢিল ছুড়া এবং সিপিআইএম কে বেশ কিছু কড়া ভাষায় উক্তি করতে শোনা যায় ফেরদৌস কে। সেই থেকেই বিরোধীরা তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছে বলেও অভিযোগ তার।
যদিও যে সমস্ত ছবি প্রকাশ্যে এসেছে তা সম্পূর্ণ ভাবেই অরিজিনাল এবং কোন ধরণের এআই এর ব্যবহার এতে হয়নি। সুতরাং, ঘটনা যে সত্য তা নিয়ে কোনো দ্বন্দ্ব থাকে না। যাই হোক, অতঃপর বিধায়ক কিংবা দলের ইজ্জত বাঁচাতেই হোক, কিংবা দলীয় চাপে পরেই হোক সভাপতির পদ খালি করে দিয়েছেন তিনি।
এখন দেখার বিষয়, বিশালগড় বিজেপি মণ্ডল এই শূন্য স্থান পুরনে কোনো সুযোগ্য মুখ বাছাই করতে পারে কিনা।