Bangladeshi enter in Tripura
নিরাপত্তাহীনতায় বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এপারে গোটা পরিবার, ভিটে মাটি ফেলে আসলেন প্রাণের ভয়ে
প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশের ভিটে মাটি ছেড়ে ত্রিপুরার মাটিতে আশ্রয় খুঁজতে এলো গোটা দুই পরিবার।
শনিবার সকালে আমবাসা রেলস্টেশন থেকে তাদের আটক করা হয়। আটক কৃত দের মোট সংখ্যা ১০ জন। তাদের মধ্যে দুই পরিবারের ৫ জন নাবালক ২ জন মহিলা এবং ১ জন বৃদ্ধ আছেন। উভয় পরিবারই বাংলাদেশের বাসিন্দা। তাদের বক্তব্য বাংলাদেশের ভয়াবহ পরিস্থিতি তে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন তারা। তাই বাংলাদেশে আর ফিরতে চান না। তারা বাংলাদেশে চরম অত্যাচার ও নিপীড়নের শিকার হয়ে অবশেষে গতকাল রাতের দিকেই লুকিয়ে পরিবার সমেত বাংলাদেশ ছেড়ে এপারে এসেছেন কমল্পুরের কোনো এক সীমান্ত টপকে। ত্রিপুরা, সিলচর ইত্যাদি জায়গায় যাওয়ার উদ্দেশ্যেই তারা রউনা হন বলে জানিয়েছেন। অবশেষে তাদের নিয়ে এসে আমবাসা থানায় রাখা হয়েছে।
যেখানে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু দের নিপীড়নের ঘটনা কে রীতিমতো ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের ভূয়া খবর বলে নিজের বেহেল্লাপনা কায়েম রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার ওদিকেই এবার আজকের এই ঘটনা তাদের মুখে চুন কালি মাখার মতো কাণ্ড ঘটিয়েছে।
গোটা বিশ্ব অবগত রয়েছে কিভাবে বাংলাদেশ জুড়ে হিন্দু খেদাও অভিযান চলছে। এই অবস্থায় নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে ভারতের মাটিতে আশ্রয় খুঁজতে চাইছেন সংখ্যালঘু হিন্দুরা।
বাংলাদেশী বিএনপি, জামাত দের মদত পেয়ে কিছু দুষ্ট চক্র একটিভ হয়ে হিন্দু নিধন চালাচ্ছে । যার জেরে ইদানিং একজন মায়ের মৃত্যু অব্দি হয়েছে নিজ বাড়িতেই। ভয়াবহতা দিন কে দিন বাড়ছে। এই অবস্থায় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা প্রদান করার পরিবর্তে উল্টে তাদের কে আরও বেশি পরিমাণে অত্যাচার করে চলেছে দুষ্কৃতীরা। যাদের প্রায় সকলেই বিএনপি ও জামাত এর চেলা।
কিন্তু ভারতের বুকে কি আদৌ বঙ্গ ছেড়ে আসা এই মানুষ গুলো ঠায় পাবে ? বাংলাদেশ বলছে ভারত যেন বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে যদি এভাবেই ক্রমাগত সেখানকার বাসিন্দারা ভারতে আশ্রয় চাইতে আসেন তবে নির্ঘাত ভারত কে এবার বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে হতে পারে। এমনটাই মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।