Baldakhal under theft
ভোটার রা ভোটের মধ্যে দিয়ে জনপ্রতিনিধি বাছাই করেন। এই প্রত্যাশা নিয়ে যে তাদের জনপ্রতিনিধি তাদের সার্বিক সুখ দুঃখ সুযোগ সুবিধা সব কিছুরই খেয়াল রাখবেন। সব চাইতে বড় কথা এলাকার মানুষের নিরাপত্তা যেন কায়েম থাকে সেই দিকে নজরদারি রাখবে। কিন্তু দীর্ঘ ছয় বছরের বিধায়ক রতন চক্রবর্তী মহোদয় যিনি পরপর দু বার ২০১৮ এবং ২০২৩ এ খয়েরপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জনগণের রায়ে জয়ী হয়েছেন উনার এলাকা বলদাখাল এর ভাগ্যের চাকা এক বিন্দু ও ঘোরেনি। বাম আমলে ও যে দশায় ছিল , সেই দশাতেই রয়ে গেছে আজো।
শুধু তাই নয়, বরং বলদাখাল বাসীর দুঃখের সীমানা ছাড়িয়ে গেছে ইদানিং কালে আরও বেশি। ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনের পর বলদাখাল এলাকায় একাধিকবার বিশাল মাপের ডাকাতির খবর সামনে এসেছিল। যদিও সেই ডাকাতি কাণ্ডে কারা জড়িত ছিল , তাদের খোঁজ আজো পাওয়া যায়নি। এদিকে চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই আবারো চুরি ডাকাতির মাত্রা বাড়তে শুরু করে দিয়েছে।
প্রসঙ্গক্রমে, ৮ই জুন বলদাখাল এলাকার বাসিন্দা বিজয় সরকার এর বাড়িতে এক বিশাল চুরি কাণ্ড ঘটিয়ে পগারপার হয়ে যায় চোর চক্র। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বলদাখাল এলাকার বিজয় সরকার ২৮ মে থেকে ৬ জুন পর্যন্ত সপরিবারে কৈলাসহর শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন। সেই সুযোগে উনার বাড়িতে চুরির ঘটনা সংঘটিত হয়। ছয় তারিখ বাড়িতে এসে উনি দেখতে পান উনার ঘরের জানালা ভাঙ্গা এবং আলমারী ভাঙ্গা অবস্থায় রয়েছে। উনি অভিযোগ করেন উনার ঘর থেকে দুই জোড়া সোনার কানের দুল এবং একটি চেইন সহ ক্যাশ পঁচিশ হাজার টাকা চোরের দল নিয়ে যায়। ঘটনা জানিয়ে গতকাল পূর্ব আগরতলা থানায় একটি মামলা নথিভূক্ত করেন তিনি।
এই ঘটনার তদন্তে নেমে পূর্ব আগরতলা থানার পুলিশ জোরালো প্রয়াস চালিয়ে সুজিত দাস নামে এক চোরকে আটক করেছে। তার কাছ থেকে একটি সোনার চেইন ও একজোড়া কানের দুল উদ্ধার ও হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করেছে চুরির ঘটনা এবং তার সঙ্গে বাপন দেবনাথ নামে আরেকজন জড়িত বলে সে জানায়। পুলিশ বাপন দেবনাথ কে আটক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাকে আটক করলে অন্য চুরি যাওয়া জিনিসগুলো উদ্ধার করা যাবে বলে জানান পূর্ব আগরতলা থানা ওসি সনজিৎ সেন।
বলদাখাল এ সদ্য ঘটে যাওয়া চুরি কাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে পূর্ব থানার পুলিশ, এ কথা যেমন সত্য তেমনি এটাও সত্য যে এধরণের ঘটনার হ্রাস টানতে ব্যর্থ পুলিশ বাবুরা। যদিও বলদাখাল এলাকায় প্রায়শই নৈশ কালীন টহলদারি চালাতে দেখা যায় পুলিশ প্রশাসন কে কিন্তু তাতেও চুরির মাত্রা কিন্তু কমানো যাচ্ছে না। এই নিয়ে আগামী দিনে এলাকার বিধায়ক এর নজরদারি এবং কড়া পদক্ষেপ এর আশা করছেন এলাকাবাসীরা। দেখার বিষয় রতন বাবু নিজ বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষের নিরাপত্তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে কোনো প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেন কি না।