Awami league vs BNP : বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানি করা মূল পন্য আওয়ামী লিগ, কটাক্ষ বিরোধী বিএনপির

 

রাজনীতিতে একটু রঙ জমাতেই বিএনপির নতুন ছক। “ভারতীয় পন্য বয়কট করো” – ডাক তুলেছে বাংলাদেশ এর শাসক বিরোধী বিএনপি শিবির।

বাংলাদেশে অধিকাংশ পণ্য সামগ্রী রপ্তানি হয়ে থাকে ভারত থেকে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের সাথে বাংলাদেশের যে সৌহার্দ পূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে তার অন্যতম চাবিকাঠি যে একপ্রকার দুই দেশের বানিজ্যিক ক্ষেত্রে আমদানি রপ্তানি সেটা অবশ্য সবারই জানা।
কিছুদিন আগেই বাংলাদেশে পুনঃসরকার গঠন করেছে আওয়ামী লিগ। বিএনপি কে বিপুল সংখ্যক ভোটে হাড়িয়ে সরকার গঠন করতেই আওয়ামী লিগ এর পেছনে এবার উঠে পড়ে লেগেছে বিরোধী শিবির। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের সাথে ভারতের সুসম্পর্কে ভাঙ্গন ধরাতেও পিছপা হচ্ছে না।
বিএনপির পক্ষ থেকে ভারতীয় পণ্য সামগ্রী বয়কটের ডাক উঠেছে। আর সেই ডাকের পরিপ্রেক্ষিতেই তুমুল সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের।
বাংলাদেশ সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা ভারতীয় পণ্য বর্জনের বিষয়ে বিএনপি কে বলেন “আপনাদের ঘরের বৌদের ভারতীয় শারি গুলো পোড়ান , তাহলে মেনে নেবো যে আপনারা বাস্তবেই ভারতীয় পণ্য বয়কট করছেন।“
তিনি আরও বলেন, একাত্তরে ভারতের সহযোগিতায় বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি লাভ করেছিল। তখন ও বহু দেশ বিরোধী অশুভ শক্তি সেই স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল। আজকে যারা ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিচ্ছেন তারা আসলে সেই অশুভ শক্তিরই অঙ্গ।
বিরোধী বিএনপি শিবিরের দাবী ভারত থেকে রপ্তানি হওয়া পণ্য চড়া দামে বিক্রি হয় বাংলাদেশে। তাই নিজস্ব উৎপাদিত পন্যের উপর নির্ভরশীলতাকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ। কিন্তু শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার এর মুল্য অনুযায়ী যে কোনো বিদেশ থেকে পণ্য ক্রয় করলেই তার দাম স্বাভাবিক ভাবেই কিছুটা বাড়তি থাকবে। কিন্তু ভারত বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ হওয়ায় আমদানি রপ্তানি তে সুযোগ সুবিধা অনেক বেশি। তাছাড়া পরিবহন জনিত খর্চা অনেকটাই কম। অন্যান্য দেশ থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে তা অনেক মাত্রায় বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া তিনি এক প্রকার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “ ভারতীয় মশলা ছাড়া একদিন রান্না করে খান, নয়তোবা ভারতীয় পোশাক পরিচ্ছদ ত্যাগ করুণ। তাহলেই বোঝা যাবে আসলেই কতটা দম আছে শ্লোগানে। “
মূলত , ভোটে না জিততে পারা এবং স্থানীয় বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি ও বাংলাদেশ এর সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়াতেই ইহা একপ্রকার ষড়যন্ত্র বলে দাবী করছে বাংলাদেশ সরকার।

Leave A Reply