Animesh Debbarma expected more important ministry

রাজ্য রাজনীতিতে নয়া সমীকরণ দেখতে পাওয়া গেছে ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনের পরক্ষনেই। একদিকে শাসক শিবিরে অধিষ্ঠিত হয় বিজেপি, অন্যদিকে প্রধান বিরোধী দলের তকমা পূর্বের বাম দল থেকে ভোটের লড়াইয়ে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তিপ্রা মথা আঞ্চলিক দল।
ত্রিপুরার রাজবংশীয় মহারাজা প্রদ্যুত কিশোর দেব বর্মার তিপ্রা মথা দল ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনে দুর্দান্ত ফলাফল করে রাজনীতির ময়দানে একেবারে কোণঠাসা করে দিয়েছিল বিরোধী বাম ও কংগ্রেস দল কে। কিন্তু সময় এর চাকা ঘুরে গিয়ে এই তিপ্রা মথা দল কেই পরবর্তী সময় হতে হল কোণঠাসা।
২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনের পর প্রধান বিরোধী দল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর থেকেই রাজ্যে তিপ্রাসাদের জন্যে একের পর এক দাবী নিয়ে মাঠে ময়দানে আন্দোলন করতে দেখা গেলো মথা কে। এদিকে গোটা ১ বছর এর লোক দেখানো অভিনয় শেষে চলতি ২০২৪ এর মার্চ মাসে আমরন অনশনের নাম করে দিল্লী গিয়ে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত করে বিজেপির শরিক দল হিসেবে নতুন পরিচয় পেল তিপ্রা মথা।
এর পরপরই মথা দলীয় দুই বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহার মন্ত্রীসভায় দায়িত্ব দাবী করলে তাদের কে দুটি অতি নগন্য দপ্তর সোপে দেওয়া হয়। যদিও কোনো দপ্তর কেই নগন্য বলা যায়না। কারণ যে কোনো রাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন এর ক্ষেত্রে প্রতিটি দপ্তরেরই উন্নতি সাধন একান্ত অপরিহার্য বিষয়। তবে নগন্য বলার কারণ, রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার নিরিখে যে দপ্তর গুলি মথা বিধায়ক তথা মন্ত্রিদের দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে মোটেও খুশি হননি তারা। বিশেষ করে অনিমেষ দেববর্মা যিনি পূর্বে বিরোধী দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন উনি অন্তত একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্বের আকাঙ্ক্ষা রেখেছিলেন। কিন্তু উনাকে দেওয়া হল বন, প্রিন্টিং এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দপ্তর। পূর্বে ও তিনি এই দপ্তর বণ্টনের বিষয় নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন। এবার আবারো এক সাংবাদিক বৈঠকে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নুত্তরে একই কথা বলেন তিনি।
উল্লেখ্য আজ মহাকরণে বনদপ্তরের ক্ষেত্রে নেওয়া বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা করার জন্যে এক সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন অনিমেষ দেববর্মা। উপস্থিত ছিলেন দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিকেরা ও।
এদিনের এই বৈঠকেই তিনি আবারো জানিয়েছেন, ২২ বছর রাজনৈতিক জগতে থেকে সর্ব ক্ষেত্রে কম বেশ ভালো অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন তিনি। পিছিয়ে পরা সাধারণ মানুষের জন্যে কিছু করে উঠার স্বপ্ন ছিল উনার। গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্ব পেলে কাজ করতে পারতেন। মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন একাধিকবার। কিন্তু দপ্তর পরিবর্তন এর বিষয়ে কিছুই বলেন নি মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা নিজের হাতেই রেখেছেন একাধিক দপ্তর। সেগুলিও বণ্টন করছেন না কারো হাতেই।
তাই এবার দপ্তর নিয়ে এই অসন্তোষ জানাতে দিল্লী যাবেন অনিমেষ দেববর্মা। দিল্লীতে প্রত্যাবর্তিত সরকারের গৃহমন্ত্রীর দায়িত্বে আবারো বসবেন অমিত শাহ। উনার সাথেই আলোচনা করবেন নিজের সমস্যা নিয়ে। অনিমেষ দেববর্মা আশা রাখছেন এই সমস্যা অতি সত্বর সমাধান হবে এবং রাজ্যের মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে একটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্ব পাবেন তিনি।

Leave A Reply