Agartala to get a new hospital
রাজ্যের প্রতিটি নাগরিকের স্বাস্থ্য পরিষেবা সুনিশ্চিত করতে মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহার পরিকল্পনা অনুযায়ী শহর আগরতলায় তৈরি হবে আরও একটি হাসপাতাল।আগরতলা কাঁসারী পট্টি এলাকায় পুর নিগমের পুরনো বিল্ডিংটিতে এই হাসপাতালটি গড়ে তোলা যায় কিনা, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখলেন এদিন মেয়র এবং স্বাস্থ্য সচিব। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কিছুদিনের ভিতরেই পুর নিগমের এই পুরনো বিল্ডিংয়ে যাত্রা শুরু হবে একটি নতুন হাসপাতালের।
রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য পরিষেবার মানোন্নয়নে কোন ধরনের খামতি রাখতে চাইছে না। রাজ্যের প্রতিটি নাগরিকের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিশ্চিন্ত করার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করছে রাজ্য সরকার। বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহার একান্ত ইচ্ছা প্রতিটি নাগরিকের স্বাস্থ্য পরিসেবা সার্বিকভাবে সুনিশ্চিত করা। পাশাপাশি রাজ্যের প্রধান দুই হাসপাতালে রোগীর ভিড় কমাতে চিন্তা ভাবনা করতে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশের পরই স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত, শহর আগরতলায় আরো একটি হাসপাতাল তৈরি করা হবে। হাসপাতালটি কোথায় প্রতিষ্ঠিত করা হবে সে ব্যাপারে এখন জায়গা দেখার কাজ চলছে।তবে বৃহস্পতিবার নতুন হাসপাতালটির জন্য কাঁসারী পট্টি পুর নিগমের পুরনো অফিস বিল্ডিং এবং বিল্ডিং চত্বরটি ঘুরে দেখলেন মেয়র দীপক মজুমদার এবং স্বাস্থ্য সচিব কিরন গিত্যে সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য সচিব কিরন গিত্যে জানালেন,রাজ্যের প্রধান দুটি রেফারেল হাসপাতাল জিবি ও আইজিএমে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। জিবি হাসপাতালের ওপিডিতে গড়ে প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার এবং আইজিএমে প্রতিদিন গড়ে ১২০০ রোগী ভীড় করছেন স্বাস্থ্য পরিষেবা নিতে। রাজ্য সরকার জিবি এবং আইজিএম এই দুটি হাসপাতালকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করার পক্ষপাতি। সে ক্ষেত্রে আগরতলা শহরের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবার বিষয়টি রাজ্য সরকারের অনুমোদনক্রমে আলাদা করতে চায় রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর।সে কথা মাথায় রেখে আগরতলা শহরে আরেকটি হাসপাতাল তৈরির চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য সরকার। এক্ষেত্রে আগরতলা পুর নিগমের তরফ থেকে প্রস্তাব আনা হবে পুর পারিষদের বৈঠকে। সেখানে প্রস্তাব পাস হলে সেটা মন্ত্রী পরিষদে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্য দপ্তরকে নতুন হাসপাতাল নির্মাণের জন্য রাজ্য সরকার যেভাবে নির্দেশ দেবে সেই অনুযায়ী কাজ করবে স্বাস্থ্য দপ্তর।এদিন কিরন গিত্যে বলেন, গত কয়েকদিন ধরে মুখ্যমন্ত্রীর ডক্টর মানিক সাহা আগরতলা শহরের বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান গুলো পরিদর্শন করছেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার মান উন্নয়নের জন্য তিনি প্রত্যেক আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন। তাই স্বাস্থ্য পরিষেবার মান উন্নয়নের জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে প্রাথমিক আলোচনা শেষ করা হয়েছে। সেখানে শহরে একটি নতুন হাসপাতালের প্রয়োজনের বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়। এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহারও প্রাথমিক অনুমোদন রয়েছে। এক্ষেত্রে শহরাঞ্চলে যে ৪০ টিরও বেশি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে, সেগুলিকে এই নতুন হাসপাতাল থেকে পরিচালনা করা হবে। পুরো ব্যবস্থাপনার দায়িত্বটি নিয়ন্ত্রণ করবে আগরতলা পুর নিগম। পরবর্তী সময়ে নতুন হাসপাতাল তৈরি হয়ে গেলে সেটির পরিচালনার দায়িত্বেও থাকবে আগরতলা পুর নিগম। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর সেক্ষেত্রে পুর নিগমকে সাহায্য করবে। নতুন হাসপাতালে শুধু ওপিডি নয় আইপিডি ও হবে। একটি মহকুমা হাসপাতালে যে ধরনের চিকিৎসা হয় সে ধরনের সমস্ত পরিষেবাই পাওয়া যাবে এই নতুন হাসপাতালে। তবে সুপার স্পেশালিটি চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকবে জিবি এবং আইজিএম হাসপাতালে। প্রাইমারি ও
সেকেন্ডারি স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্যই এই নতুন হাসপাতালটি চিহ্নিত হবে বলে জানালেন রাজ্য স্বাস্থ্য সচিব কিরন গিত্যে। যদি সবকিছু ঠিক থাকে তাহলে হয়তোবা কিছুদিনের ভিতরেই কাঁসারী পট্টি এলাকায় আগরতলা পুর নিগমের পুরনো বিল্ডিংটিতে আরেকটি হাসপাতাল তৈরি হতে যাচ্ছে। এত শহরের লোকজনদের অনেকটাই সুবিধা হবে বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা।