Agartala KFC News : নামি ব্র্যান্ডের ভরসায় মানুষ যখন পরিবারের সঙ্গে নিশ্চিন্তে বাইরে খাওয়াদাওয়ার পরিকল্পনা করেন, ঠিক তখনই শহরের এক জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ চেন Kentucky Fried Chicken (KFC)-এর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে সেই বিশ্বাসে চিড় ধরাল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
রবিবার বিকেলে শহরের একটি কেএফসি শাখায় খেতে যান এক গ্রাহক। অভিযোগ, মেনু থেকে খাবার অর্ডার করার পর পরিবেশিত খাবারে ছিল তীব্র দুর্গন্ধ ও পচা স্বাদ। খাবারের গুণমান নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গেই রেস্তোরাঁর কর্মীদের ডেকে বিষয়টি জানান তিনি।
তবে তার অভিযোগ, কর্মীরা সহানুভূতির বদলে তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং তাঁকে ‘বাড়াবাড়ি’ না করতে বলেন। এমনকী, খাবারটি নষ্ট নয় বলেও অস্বীকার করেন তারা। অভিযোগের তীব্রতা এতটাই যে, ওই গ্রাহক রাজ্য সরকারের খাদ্য দপ্তরের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
ঘটনার জেরে ক্ষুব্ধ গ্রাহক বলেন,একটা আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড থেকে এইরকম নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর খাবার কেউ আশা করতে পারে না। গন্ধেই বোঝা যাচ্ছিল মাংসটি বাসি, অথচ তারা সেটি স্বীকারই করল না। এটা শুধু আমার সঙ্গে নয়, আরও অনেকের সঙ্গেও হতে পারে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া।”
তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন—
“শহরের বড়ো বড়ো রেস্তোরাঁ যদি এই ধরনের খাদ্য পরিবেশন করে, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? পরিবার নিয়ে যদি কেউ খেতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন, তার দায় কে নেবে?”
এই ঘটনার পরে সংশ্লিষ্ট কেএফসি শাখার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন তিনি। তার বক্তব্য, শুধুমাত্র ক্ষমা চাওয়া বা খাবারের টাকা ফেরত দেওয়া যথেষ্ট নয়। এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে না ঘটে, তার জন্য রেস্তোরাঁটির লাইসেন্স পরীক্ষা, রান্নাঘরের হাইজিন এবং সংরক্ষণের মান খতিয়ে দেখা উচিত।
তবে এই ধরণের ঘটনা বন্ধ করার জন্য খাদ্য দফতরকে শহরের সব প্রিমিয়াম রেস্তোরাঁতে হঠাৎ অভিযান চালিয়ে তাদের খাদ্য গুণমান, রান্নার উপকরণ, সংরক্ষণ পদ্ধতি এবং কর্মীদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা যাচাই করা হোক।
নামি ব্র্যান্ডের মুখোশের আড়ালে যদি এই ধরনের উদাসীনতা চলে, তাহলে জনগণের স্বাস্থ্যের উপর তা বড়ো বিপদ ডেকে আনতে পারে বলেই মনে করছেন অনেকেই।