Agartala Cyber Branch police station : ত্রিপুরায় আইনের শাসন এবং সুশাসনের পথে আরও এক ধাপ এগোল রাজ্য সরকার। আজ অরুন্ধুতি নগর এলাকায় নবনির্মিত সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চের পুলিশের থানা উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “ত্রিপুরায় সুশাসন দৃঢ়ভাবে কায়েম রয়েছে। কেন্দ্রের মোদী সরকারের সুশাসনের মডেল অনুসরণ করে রাজ্যেও আমরা উন্নয়নের পথে এগোচ্ছি। বিরোধীরা এই অগ্রগতি মেনে নিতে পারছে না বলেই তথ্যভিত্তিক কোনও প্রমাণ ছাড়াই সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “ক্রাইম ব্রাঞ্চের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় এবছর ১০৬ শতাংশ বেশি মাদকদ্রব্য জব্দ করতে পেরেছে পুলিশ প্রশাসন। এটি রাজ্য পুলিশের সক্রিয়তা এবং অঙ্গীকারের প্রতিফলন।”
বিরোধীদের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ওনারা শুধু সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াতে ব্যস্ত। কিন্তু মানুষ এখন তথ্য দেখে বিচার করে। মানুষ এতটা সহজ-সরল নয়।”
উল্লেখযোগ্যভাবে, নতুন এই সাইবার ক্রাইম থানার মাধ্যমে অনলাইন জালিয়াতি, হ্যাকিং, সাইবার বুলিং সহ নানা ধরণের সাইবার অপরাধ দ্রুত ও দক্ষতার সাথে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ত্রিপুরা সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ, বিশেষ করে সাইবার ক্রাইম থানার উদ্বোধন, রাজ্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এক নতুন দৃষ্টান্ত। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মূলভিত্তি হল আইন। আইনের শাসন কেবল অপরাধ দমনই করে না, বরং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা, ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
বর্তমান যুগে সাইবার অপরাধ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। ব্যক্তিগত তথ্য চুরি থেকে শুরু করে ব্যাংক জালিয়াতি, অনলাইন প্রতারণা ও সামাজিক মাধ্যমে অপব্যবহার—সবই সাধারণ মানুষের জীবনে ভয়ানক প্রভাব ফেলতে পারে। এর মোকাবিলায় বিশেষায়িত সাইবার থানার প্রয়োজন ছিল দীর্ঘদিন ধরেই।
সুশাসনের মূল চাবিকাঠি হল স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, এবং আইনের সমান প্রয়োগ। ত্রিপুরা সরকার সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যদি তথ্যভিত্তিক ও প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে ওঠে, তবে তা অপরাধ দমনে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
এছাড়া, সাধারণ মানুষের মধ্যে আইন সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়েরের প্রক্রিয়া সহজ করা এই থানার অন্যতম উদ্দেশ্য।
