Agartala churi 2024

মাঝে মাঝেই ত্রিপুরা পুলিশের অসামান্য কেরামতি দেখে আইনের উপর সাধারণ মানুষের টালমাটাল ভরসা যেন আবারো শক্ত হয়ে উঠে। যদিও ঘটনা ঘটে যাওয়ার সাথে সাথে পুলিশের দেখা মেলেনা, মামলা হলেও তদন্ত হয়না এমন বহু অভিযোগ নিত্য দিনই পুলিশের বিরুদ্ধে ছাপে খবরের কাগজে। কিন্তু এই সমস্ত অভিযোগ খানিকটা ম্লান হয়ে পড়ে ঠিক তখনই যখন এই পুলিশ বাবুরাই তৎপরতার সাথে বড় থেকে বড় কেস সল্ভ করে দেন চোখের পলকেই।
এতো প্রশংসা কেন? অবশ্যই যথাযত কারণ আছে।
গতকাল তথা ২৩শে এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে আগরতলা শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এক আইনজীবীর বাড়িতে শুন্যতার সুযোগ নিয়ে এক দল চোর বাড়ির তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে আলমারিতে হানা দিয়ে হাফিজ করে নিয়ে যায় প্রায় দেড় লক্ষ টাকা।
ঘটনা মঠ চৌমুহনী ১ নং গলিতে। আইনজীবীর নাম বিপ্লব ভট্টাচার্যী। বাড়িতে বিপ্লব বাবু এবং উনার ছোট ভাই থাকেন। এদিন দুপুরে দুজনেই ব্যক্তিগত কাজে বাড়ির বাইরে ছিলেন। আর সেই সুযোগেই চোর চক্র বাড়িতে প্রবেশ করে এই দুঃসাহসিক চুরি কাণ্ড ঘটায়। বাড়ি ফিরে চুরির ঘটনা লক্ষ্য করতেই পূর্ব থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন আইনজীবী বিপ্লব ভট্টাচার্যী। চুরির ঘটনা জানতে পেরেই তৎক্ষণাৎ পুলিশ ময়দানে নেমে পড়ে। পাশের এক বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ থেকে রাহুল দাস নামে এক চোরের সন্দেহজনক মুভমেন্ট লক্ষ্য করতে পারে পুলিশ।সাথে সাথে তার পেছনে পুলিশ তাদের গোয়েন্দা বিভাগ কে কাজে লাগায়। ইন্দ্রনগর এলাকা থেকে রাহুল দাস কে আটক করে তার ঘরে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ নগদ টাকা উদ্ধার করেছে এবং তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে এই চুরি কাণ্ডে আরও দুজন যথাক্রমে বিনয় সাহা, বাড়ি করবুক ও অমিত রায় , বাড়ি শ্রীনগর – এই দুজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছেন এই তিন জনের বিরুদ্ধে পূর্বেও নানা চুরির মামলা নথিভুক্ত রয়েছে এনসিসি থানায়। একাধিকবার গ্রেফতার ও হয়েছে, জেল ও হয়েছে। তথাপি অভ্যাস বদলায় নি। পুলিশ এদের কে রিমান্ডে চাইবেন এবং অন্যান্য মামলা রয়েছে কিনা ক্ষতিয়ে দেখবেন।
তাছাড়া পূর্ব থানার ওসি এদিন জানিয়েছেন যে এদের প্রত্যেকেই ড্রাগ এর নেশায় আসক্ত। একদিকে চুরির অভ্যাস হয়ে গেছে অপরদিকে ড্রাগ জাতীয় নেশা সামগ্রী ক্রয় করতেই এধরণের চুরি কাণ্ড ঘটাচ্ছে তারা।

 

Leave A Reply