Jitendra Choudhary : কমলপুর মহকুমার শান্তির বাজারে সাম্প্রতিক অশান্তির পর বেশ কিছুদিন কেটে গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দুঃসহ অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। সিভিল সোসাইটি নামধারী মথা-সমর্থিত সংগঠনের ডাকা রাজ্যব্যাপী বন্ধের জেরে শান্তির বাজার মুহূর্তে উত্তাল হয়ে ওঠে। দুর্বৃত্তদের হামলায় একাধিক দোকান ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষই শেষ পর্যন্ত সর্বস্বান্ত হন।
বুধবার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় শান্তির বাজারে যান বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুধন দাস, রাধা চরণ দেববর্মা-সহ সিপিআই(এম)-এর অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় নেতা। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন তাঁরা।
জিতেন্দ্র চৌধুরী অভিযোগ করেন, বন্ধের অজুহাতে ত্রিপুরামথা সমর্থকেরা ‘সিভিল সোসাইটি’র আড়ালে পরিকল্পিতভাবে তাণ্ডব চালিয়েছে। তাঁর দাবি, রাজ্যে চলমান অসন্তোষ ও শাসনের ব্যর্থতা ঢাকতেই মথা ও বিজেপি মিলিতভাবে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের চেষ্টা করছে। দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, প্রশাসন শুরুতেই যথাযথ পদক্ষেপ নিলে পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ রূপ নিত না। আইনভঙ্গকারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে প্রশাসনিক সদিচ্ছার ঘাটতি ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর কথায়, দিনের পর দিন লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ চললেও প্রশাসন কার্যত দর্শকের ভূমিকা নিয়েছে।
বিরোধী দলনেতা জানান, শুধু ঘটনার সময় নয়, পরেও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো যথেষ্ট সাহায্য পায়নি। প্রশাসনের দেওয়া সামান্য সহায়তা দিয়ে পুনরায় সংসার গড়া অসম্ভব। তাই ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ ও দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসনের দাবি জানানো হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
এর আগে তিনি ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করলেও নিরাপত্তাজনিত কারণে প্রশাসন অনুমতি দেয়নি। পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় তিনি এলাকায় গিয়ে বাস্তব চিত্র খতিয়ে দেখেন। দলের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার এবং সরকারের কাছে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তুলে ধরার কথাও জানান তিনি।



