Kshudiram School News : রাজধানীতে আরেকটি নিরীহ প্রাণ ঝরে যাওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ মানুষ। অভিযোগ, ক্ষুদিরাম বসু ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের চরম গাফিলতি এবং দায়িত্বহীনতার কারণেই দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী দিপান্বিতা পালের অকাল মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, গত শুক্রবার বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালীন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে দিপান্বিতা। সহপাঠীরা ও আশপাশে থাকা শিক্ষিকাদের জানালেও, পরিবার সূত্রের অভিযোগ—শিক্ষিকারা প্রথমদিকে বিষয়টি গুরুত্বই দেননি। শিশুটির শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
দিপান্বিতাকে ভর্তি করা হয় জিবি হাসপাতালে। গুরুতর অবস্থার কথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্কুলকে জানালেও—পরিবারের দাবি—স্কুলের পক্ষ থেকে কেউ একবারও হাসপাতালে এসে খোঁজ নেননি। অসুস্থ ছাত্রীকে দেখতে যাওয়া তো দূরের কথা, চিকিৎসার জন্য কোনো আর্থিক বা প্রশাসনিক সহায়তাও দেয়নি বিদ্যালয়।
শুক্রবার থেকে রবিবার—এই দুই দিনের ব্যবধানে শিশুটির অবস্থা আরও সঙ্কটজনক হয়ে পড়ে। শেষমেষ স্থানীয় নেতৃত্বরা এসডিএম-এর হস্তক্ষেপ চাওয়ার পর বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের যেন হুঁশ ফেরে। অভিযোগ, এরপরই রবিবার তড়িঘড়ি হাসপাতালে হাজির হন কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকা। কিন্তু ততক্ষণে দিপান্বিতার অবস্থার আর পরিবর্তন করার মতো কিছু বাকি ছিল না—সে চলে গিয়েছিল কোমার গভীরে।
পরিবারের অসহায় আর্তনাদ আর চিকিৎসার ব্যর্থ লড়াইয়ের মাঝে শেষ পর্যন্ত বুধবার মৃত্যু কোলে ঢলে পড়ে ছোট্ট দিপান্বিতা। নিথর দেহ ঘিরে শোকের মাতম ফেটে পড়ে তার বাবা–মা ও আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে।
অভিভাবক, প্রতিবেশী এমনকি স্থানীয় সচেতন মানুষজনের অভিযোগ দিপান্বিতার মৃত্যু একেবারেই প্রতিরোধযোগ্য ছিল। সময়মতো চিকিৎসা, দায়িত্বশীল আচরণ এবং ছাত্রীর অবস্থা বুঝে দ্রুত ব্যবস্থা নিলে হয়তো আজও বেঁচে থাকত সে। তারা মনে করেন, এই মর্মান্তিক ঘটনার পুরো দায়ভার বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষেরই।
শোকস্তব্ধ জনমনে এখন একটাই প্রশ্ন—বিদ্যালয় , যেখানে শিশুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত হওয়ার কথা, সেখানে যদি এই ধরনের অবহেলা ঘটে, তবে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের কীভাবে বিশ্বাসের হাতে তুলে দেবেন?



