NSRCC Indoor Stadium : আগরতলা এনএসআরসিসি ইনডোর স্টেডিয়ামে ঢুকতে হলে এবার থেকে লাগবে আইডি কার্ড। আর প্রতি আইডি কার্ড বাবদ দিতে হবে ১০০ টাকা। অভিভাবকদের প্রশ্ন, এবার কি তবে প্রতি জনে জনে আই কার্ড বানাবেন ? নাকি বাচ্চাদের একাই ছেড়ে দিয়ে যাবেন ।
এক কথায় , ব্যবসা শুরু করেছে এনএসআরসিসি সংস্থা। আর এই চিত্র বিগত ৩৫ বছরে ও দেখা যায়নি। বুধবার এই প্রসঙ্গে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয় স্টেডিয়াম এর বাইরে। ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা তাদের বাচ্চাদের নিয়ে গেইটের বাইরে দারিয়েই প্রতিবাদ করতে শুরু করেন।
বিগত এতো বছর যাবত অভিভাবকেরা তাদের বাচ্চদের এই স্টেডিয়ামে নিয়ে আসছেন। কখনো তাদের কে এধরণের শর্ত দেওয়া হয়নি। শিশু দের জন্যে তাদের অভিভাবকেরা প্রায়শই বাইরে বসে অপেক্ষা করেন। এক এক দিন এক এক অভিভাবক তাদের নিয়ে আসেন। তবে কি প্রতি জনে এখন থেকে আইকার্ড রাখবেন ? এটা কি আদৌ সম্ভব ?
অভিযোগ মঙ্গল বারেই এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এনএসআরসিসির পক্ষ থেকে। আর তা শুনে বেজায় চটে গেছেন অভিভাবকেরা। বিগত ৩৫ বছর এর ও বেশি সময় যাবত চলছে এই স্টেডিয়াম। কখনো এমন হয়নি। এমনকি অভিভাবকদের অভিযোগ কোন ধরণের নিয়মানুবর্তিতা ছাড়াই চলছে স্টেডিয়ামটি। কোন সেশান ছাড়াই চলছে ভর্তি। দুর্গা পুজোর আগেও ভর্তি হচ্ছে, আবার পরেও ভর্তি নেওয়া হচ্ছে। বছরের শুরু কিংবা শেষ যে কোনো সময়ের ভর্তি করানো হচ্ছে শিশু দের। এতে করে কোন বাচ্চাটি কোন সেশানে ভর্তি হচ্ছে, এতে করে তারা আদৌ সঠিক ভাবে প্রশিক্ষণ পাচ্ছে কিনা সেই নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
এক কথায় টাকা দিলেই যে কেউ যখন খুশি ভর্তি হতে পারছে এখানে। এক প্রকার ব্যবসা চলছে এনএসআরসিসি তে এমনটাও অভিযোগ করছেন অভিভাবকেরা। তাদের মর্জি মাফিক ভাবেই চলছে এখন স্টেডিয়াম। পূর্বে এমন ছিল না। এতো বছর যাবত অভিভাবকেরা তাদের বাচ্চাদের নিয়ে আসছেন এখানে । এমন চরম পর্যায়ের অব্যবস্থাপনা তারা এর আগে কখনোই দেখেন নি এমনটাই জানান তারা।
এই নিয়ে গতকাল থেকেই তুমুল উত্তেজনা ছিল। আজ কেও বাচ্চাদের নিয়ে তাদের মা বাবা স্টেডিয়ামে গেলে তাদের কে ১০০ টাকা দেবার কথা বলতেই চটে যান তারা। এই নিয়ে দুপুর থেকেই গেইটের বাইরে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করছিলেন অভিভাবক মহল। যা নিয়ে রীতিমতো চারিদিকে সংবাদ চাউর হয়ে পরে। অতঃপর অভিভাবকদের ক্ষোভের মুখে পরে এবং খবরের চাপে পরে কোনোক্রমে নিজদের মান বাঁচাতে গোটা বিষয়ের মোড় ঘুড়িয়ে দেবার চেষ্টা করেন এদিন কর্তৃপক্ষ। অবশেষে ১০০ টাকা মাসিক দেওয়ার বিষয় থেকে সরতে হয়েছে পোস্ট কাউন্সিলের সচিব কে। কিন্তু তাদের বক্তব্য অভিভাবকেরা নাকি বিষয়টি কে ভুল পথে নিয়ে গেছেন কিংবা ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
যদিও অভিভাবকেরা যে সত্য বলছেন তা অকপটে বলা যায়। এক যোগে এতো জন অভিভাবকের কথা খণ্ডন করা যায়না। যাই হোক, অভিভাবকদের অভিযোগ এর ভিত্তিতে এবার এনএসআরসিসির পরিচালন কমিটির টনক নড়ে কিনা সেটাই দেখার বিষয়।



