Udaipur News : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা কে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আবারো কুৎসা রটানোর অভিযোগ। অভিযুক্ত এবার এক যুবক। বাড়ি উদয়পুর হাউজিং বোর্ড এলাকা বলে জানা যায়। নাম সাগর সাহা ।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সে বেশ কিছুদিন যাবত রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহা কে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বেশ কিছু কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছে। আর সেই সমস্ত পোস্ট ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে যা শাসক গোষ্ঠীর নজর কেড়েছে।
প্রসঙ্গত কিছুদিন পূর্বেই মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী ও সরকার কে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে কুৎসা রটানোর অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন মাধবী বিশ্বাস নামের এক মহিলা। যিনি বর্তমানে জেলে রয়েছেন। একই ভাবে এবার উদয়পুর এর বাসিন্দা সাগর সাহা এর এহেন আচরনের সাক্ষী থেকে তাঁর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে বিজেপি মণ্ডল।
আজ সোমবার সাগর সাহার বিরুদ্ধে আরকেপুর মণ্ডল , সোশ্যাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আর কে পুর থানায় একটি লিখিত আকারে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলা দায়ের করেছেন বিজেপির আর কে পুর মন্ডলের সোশ্যাল মিডিয়ার কো- কনভেনার অম্লানজিত নিয়োগী ।
সোমবার সকাল ১১ টা নাগাদ রাধাকিশোরপুর থানায় এসে সাগর সাহা নামে ঐ যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত আকারে এই মামলা দায়ের করেন অম্লানজিত সহ আরও কয়েক জন। পরে সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে অম্লানজিৎ জানান , রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত কুরুচিকর , মানহানিকর ও ব্যক্তিগত আক্রমণ মূলক মন্তব্য করায় সাগর সাহার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানানো হয়েছে পুলিশের কাছে।
থানার ওসি মামলা গ্রহন করেছেন এবং এই ঘটনার তদন্ত করবেন বলে জানিয়েছেন। এদিন সকালে শাসক দলের অন্যান্য কর্মীরাও থানায় আসেন একই ঘটনা নিয়ে। এই গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে উদয়পুর শহর এলাকা জুড়ে।
বিগত এক বছরে এধরণের ঘটনায় বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাঁর মধ্যে ছিলেন কংগ্রেস দলীয় কর্মী সাহাজান ইসলাম ও। এছাড়া মাধবী বিশ্বাস, পূর্বে এক সাংবাদিক সহ একাধিক লোকে দের বিরুদ্ধে এহেন মামলা দায়ের হয়েছে।
বলা বাহুল্য, জন প্রতিনিধি, নেতা , মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী – যে কেউই যে কারো অপছন্দের হতেই পারেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে অশালীন শব্দ প্রয়োগ কিংবা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া কোন ভাবেই সুস্থ্য মানসিকতার পরিচয় বহন করে না। এর বিরুদ্ধে যে কারো বিরুদ্ধেই আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া বাঞ্ছনীয় বলে মনে করে সুস্থ্য সমাজ।



