Tipra Motha Joining : শাসক দলে ভাঙ্গন ধরিয়ে শরিক দলে ভোটার দের যোগদান। এক যোগে ১৭০ পরিবারের ৭০০ ভোটার হাতে তুলে নিলেন তিপ্রা মথা দলের পতাকা। সামনেই এডিসি নির্বাচন। তাঁর আগে দলের সুপ্রিমো ও দলীয় কর্মীদের তৎপরতায় ভোটার দের দলে টেনে নিয়ে একের পর এক কর্মসূচী অব্যাহত রাখছে মথা।
প্রদ্যুত কিশোর মানিক্যের ডাকে সাড়া দিয়ে আসন্ন ভিসি নির্বাচনে পাহাড়ে নিজেদের শক্তি কে অটুট রাখতেই চলছে কার্যক্রম। সোমবার আগরতলা স্থিত রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে এক যোগদান সভা আয়োজিত হয়। তাতেই এদিন বিজেপি এবং সিপি আই এম ছেড়ে ১৭০ পরিবারের ৭০০ ভোটার তিপারা মথা দলে যোগদান করেন।
এদিন রাজ্যের প্রাক্তন আই এ এস অফিসার সিকে জমাতিয়া ও তিপরা মথা দলে যোগদান করেন। ছিলেন প্রদ্যুত বিক্রম মানিক্য, মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা সহ সমস্ত দলীয় কর্মীরা। তবে এদিন আশ্চর্যজনক ভাবেই প্রদ্যুত বাবুর মুখে শোনা যায় এক নতুন কথা। উনি বলেন, “ বাঙালী মেরে দোস্ত হ্যাঁ”।
মানে একেই বোধয় বলে ভুতের মুখে রাম নাম। এই প্রদ্যুত মানিক্যই বরাবর বিভিন্ন মিছিল সভায় তিপ্রাসাদের বাঙালী বিরোধী করে তুলেছিলেন। আগরতলা শহর বাঙালী রা দখল নিয়েছে। আগরতলার মালিক প্রদ্যুত, উদয়পুরের মালিক প্রদ্যুত ইত্যাদি বিতর্কিত মন্তব্য গুলো করে বেশ জমজমাট রাজনীতি খেলা প্রদ্যুত বাবু আজ বলছেন উনি নাকি বাঙালী কে বন্ধু মনে করেন।
শুধু উনি নন, উনার সমস্ত তিপ্রাসা ভাই বোনেরাও নাকি বাঙালী দের বন্ধু ভাবে। যদি তা বাস্তবেই হয় তবে মান্দাই, জম্পুই জলা, টাকার জলা, কমলপুর, গণ্ডাছড়া – সর্বত্র কেন বাঙালী বিরোধী শ্লোগানে মুখরিত হয়ে বাঙালী দের বেছে বেছে অত্যাচার চালিয়েছে তিপ্রাসারা ? সেই জবাব কি আছে উনার কাছে ?
এক নতুন ধরণের রাজনীতি খেলার চেষ্টা করছেন কিনা প্রদ্যুত সেটা নিয়েই এখন সন্দেহ বাড়ছে। উনি বাঙালী কে বন্ধু বলেন মুখে, অন্যদিকে বাঙালী কে ঘুড়িয়ে পেছনে ছুরি মারতে নিজের জনজাতি দের কে লেলিয়ে দেওয়ার মতো উক্তি করেন। তাঁর এই দ্বিচারিতা যেন কোনোভাবেই গ্রহন যোগ্য বলে মনে হচ্ছে না।
আগামী দিনে রাজ্য রাজনীতি তে প্রদ্যুত মানিক্য কি খেল দেখাবেন, সেদিকেই তাকিয়ে জাতি জনজাতি সকলেই।



