Pratima Bhowmik News : এক আজব রাজ্যে বসবাস করছি আমরা। এই ত্রিপুরা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এখন ঠিক কোন দিশায় এগোচ্ছে তা বুঝে উঠা দায়। যে দলের সরকার, সেই দলেরই একজন নেত্রী এবং এই সরকারেরই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গাড়ি কে ব্যরিকেড দিয়ে আঁটকে দিল ত্রিপুরা পুলিশ। এ কেমন বিচার ?
ধর্ম নগরে রবিবার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবার কথা ছিল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকের। সেই মোতাবেক আজই রউনা হন তিনি। কিন্তু তাকে মাঝপথে আঁটকে দেয় ত্রিপুরা পুলিশ এর সুবিশাল ব্যারিকেড।
দুদিন পূর্বে যখন তিপ্রা মথা তাদের গুন্ডা বাহিনী দের লেলিয়ে দিয়ে শান্তিরবাজারে তাণ্ডব চালিয়ে ছিল, মানুষ আক্রমণ করেছিল তখন কথায় ছিল এই ব্যারিকেড ? কেন পুলিশ তখন দাঁড়িয়ে তামাশা দেখলো ? আজ সেই পুলিশই বিরোধী নয়, খোদ শাসক দলের এক নেত্রী কে পথ আটকেছে। এভাবেই এদিন পুলিশ প্রশাসন এর দিকে তির্যক ভাষায় আক্রমণ শানালেন প্রতিমা ভৌমিক।
শুধু তাই নয়, দলের মধ্যে থেকেও বর্তমানে কোনো ধরণের ক্ষমতা নেই প্রতিমা দেবীর হাতে। এটা গোটা ত্রিপুরা বাসী জানেন। কেবল মাত্র প্রাক্তন এর উপাধি নিয়েই বর্তমানে কোথাও খানিকটা টিকে আছেন তিনি। তাই হঠাৎ হঠাৎ কিছু অনুষ্ঠানে উনাকে দেখা যায়। কেউ কেউ দাবী করেন মানিক সাহা সরকার গঠনের পরেই প্রতিমা ভৌমিকের এই হাল। তাই একে গোষ্ঠী কোন্দল নামেও আখ্যা দেওয়া হচ্ছে।
এদিন সেই গোষ্ঠী কোন্দলেরই প্রমান দিলেন খোদ প্রতিমা দেবী। ব্যারিকেড এ আটকা পরতেই সরকার কে দোষারোপ করতে দেখা গেল। আকারে ইঙ্গিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দিকে তির্যক বাণ ছুড়ে দিলেন প্রতিমা। “ তিপ্রা মথা হামলা চালালে পুলিশ চুপ থাকে, অথচ আমার বেলা রাস্তায় ব্যারিকেড দেওয়া হয় – আজব সরকার চলছে রাজ্যে “ – ঠিক এই সুরেই বর্তমান কে কটাক্ষ করতে শোনা গেল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী কে।
রাজ্য বিজেপি তে এখন গোষ্ঠী কোন্দল আম বিষয়। রোজ তাদের কোন্দলের জেরে নিজেরাই নিজেদের লোকের রক্ত পিপাসু হয়ে উঠেছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে এক পক্ষ বা দু পক্ষ নয় রাজ্য বিজেপিতে ত্রিপাক্ষিক দ্বন্দ্ব চলছে। যা ধীরে ধীরে অনুভব করছেন মানুষ।
তবে এদিনের ঘটনা ছিল অত্যন্ত বিরল চিত্র। এ যেন এক অভিনব অভিজ্ঞতার সাক্ষী রইলেন প্রতিমা ভৌমিক। এই অভূতপূর্ব লীলা দেখে নিন্দা জানানোর ও ভাষা হাড়িয়ে ফেলেন এদিন তিনি। যদিও পুলিশ বাবুদের দিকেই উনার ক্ষোভের প্রভাব বেশি পরে। একাংশ কে শান্তি তে চাকরি করতে না পাড়ার ও হুমকি দিলেন তিনি। সব মিলিয়ে এদিন সরকার পক্ষেরই নেত্রীর এহেন পরিণতি দেখে অচম্ভিত হয়ে পড়েছেন প্রত্যক্ষ দর্শীরা। সঙ্গে হাসির রোল বিরোধী মহলে।



