Trinamool Congress Delegate : পশ্চিমবঙ্গের সাথে ত্রিপুরার একটাই বিশাল তফাৎ। ওখানে বিজেপির কোনো নেতা গেলে সে অবাধে যে কোনো জায়গায় ঘুরতে পারে। কিন্তু সেই তৃনমূল এর কোনো কেউ ত্রিপুরায় আসলে তাকে আঁটকে দেওয়া, হুমকি দেওয়া , মারধোর করা কিংবা আক্রমণ করার মতো ঘটনা ঘটায় বিজেপি। বুধবার ত্রিপুরায় আগত তৃনমূল কংগ্রেস এর প্রতিনিধি দল কে বিমানবন্দরে আঁটকে দেবার পরিপ্রেক্ষিতে এমনটাই বক্তব্য রাখলেন তৃনমূল নেতৃত্ব কুনাল ঘোষ।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে ত্রান বিতরণ করতে গিয়ে আক্রান্ত দুই বিজেপি নেতার ঘটনার জেরে মঙ্গলবার আগরতলা স্থিত তৃনমূল এর পার্টি অফিসে হামলা চালায় বিজেপি যুব কর্মীরা। নেতৃত্বে ছিলেন যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সুশান্ত দেব , অসীম ভট্টাচার্য সহ ভিকি প্রসাদের মতো লোকেরা। সেই চিত্র ও হয়েছে ক্যামেরা বন্দী। এই ঘটনার পর পরই আজ আগরতলায় উড়ে আসেন ৬ জনের এক প্রতিনিধি দল। ছিলেন কুনাল ঘোষ, সায়নী ঘোষ , সুস্মিতা দেব সহ অন্যান্যরা। তাদের কে রিসিভ করতে বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রদেশ যুব তৃনমূল কংগ্রেস নেতা শান্তনু সাহা।
বিমানবন্দরে আসা মাত্রই তাদের কে আঁটকে দেওয়া হয়। মূলত তাদের জন্যে বরাদ্দ ৪ টি গাড়ি কে ফোন যোগে বিমানবন্দর থেকেই ঘুরে যেতে নির্দেশ দেয় কে বা কাহারা। পুলিশ ও সেই জায়গায় সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ উঠে। এই নিয়ে রীতিমতো ধর্নায় বসে পড়তে বাধ্য হন নেতৃত্ব রা। এই অবস্থা চলে টানা প্রায় ৪ ঘণ্টা। এর পর আড়াই টা নাগাদ তাদের কে গাড়ি দিয়ে শহরে আসার ব্যবস্থা করা হয়।
প্রথমে প্রদেশ কার্যালয়ে গিয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন নেতৃত্বরা । গতকাল এর আক্রমণ এর ঘটনা নিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিজেপি কে এক হাত নেন কুনাল ঘোষ। সায়নী ঘোষ ও তীব্র ভাষায় ত্রিপুরা বিজেপি সরকার কে একেবারে ধুইয়ে দেন। এর পরেই তারা চলে যান পুলিশ হেড কোয়ার্টারে। সেখানে গিয়ে ডিজি সাহেবের সাথে কথা বলে দোষী দের দ্রুত আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান তারা।
শুধু তাই নয়, ২০২১ সালে ও তৃনমূল নেতৃত্ব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর কনভয় ভাংচুর সহ আক্রমণ এর ঘটনা নিয়েও তদন্তের আহ্বান জানানো হয়। সার্বিক ভাবে প্রশাসন সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন। অন্যথা আগামী দিনে অভিযুক্ত দের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন কুনাল ঘোষ।