Bisramganj Maruti Van News : প্রকাশ্য দিবালোকে গুণ্ডারাজ কায়েম হয়েছে এ রাজ্যে ! আর তা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে উপভোগ করছে পুলিশ। আইনের শাসন যে ত্রিপুরা রাজ্যে একেবারেই নিশ্বেস হয়ে গেছে তার আরও এক জলজ্যান্ত প্রমাণ দিলো বিশ্রামগঞ্জ থানার পুলিশ।
দিনের আলোয় এক যাত্রীবাহী মারুতি গাড়ি কে আঁটকে মাঝ পথে গাড়ি চালক সহ যাত্রী সাধারণ কে বেধড়ক মারধোর করে পালালো এক দল উশৃঙ্খল যুবক। পুলিশের সামনেই ঘটলো ঘটনা। কিন্তু এখনো গ্রেফতার হল না দোষীরা। উল্টে আক্রান্ত দের থানায় নিয়ে গিয়ে আঁটকে রাখলো পুলিশ। এজন্যেই বলে, সুশাসনের ত্রিপুরায় আইন একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।
বুধবার মাতাবাড়ি যাবার পথে বিশ্রামগঞ্জ এলাকায় একটি বাইক এর সাথে একটি মারুতি গাড়ির অল্পেতে সংঘর্ষ ঘটে নি। কিন্তু তার পরেও ঐ বাইক আরোহীরা গাড়ি টিকে পেছন থেকে ধাওয়া করে এক সময় বিশ্রামগঞ্জের দেওয়ানবাজার এলাকায় আঁটকে দেয়।
এর পর গাড়ির ভেতরে ঢুকে যাত্রী সহ গাড়ি চালক কে বেধড়ক মারধোর করে। গাড়িতে পুরুষ তো ছিলেনই , সঙ্গে তাদের পরিবার এর মহিলা সদস্যা সহ ছিলেন ছোট ছোট শিশু। সেই মহিলা , শিশু সহ সকলেই আক্রান্ত হন এই ঘটনায় । গাড়ি চালক কে রীতিমতো টেনে হিঁচড়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধোর করা হয়।
পুলিশ বাবুরা কিছুই করতে পারেনি। দিবালোকে জনসাধারন এর উপর এহেন হামলা হুজ্জুতি ! কতটা নিরাপদে আছে জনসাধারন ? ত্রিপুরার খাকী ওয়ারদি ধারী বাবুরা আদতে কতদূর পালন করছেন তাদের দায়িত্ব ? প্রশ্ন থাকছেই।
অন্যদিকে ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত দোষীরা পুলিশের সামনে থেকেই পালিয়ে গেলেও পুলিশ তাদের কে আটক না করে আক্রান্ত দের কে তুলে থানায় নিয়ে গিয়ে বসিয়ে রাখে। এ কেমন আইন ? এ কেমন বিচার ? মায়ের মন্দির গামী পরিবার টির গন্তব্য যে আজকের দিনে গিয়ে হবে সেই থানা , সেটা তারা স্বপ্নেও ভাবেন নি। ওদিকে অপরাধী দের পালাতে দিয়ে পুলিশ কি মহানুভবের কাজ করেছে সেটা ভেবেই কূল পাচ্ছেন না দর্শকেরা।