Khowai CPIM Relly : লাল বাহিনী কে কি আদৌ ভয় ভীতি দেখিয়ে দমানো যাবে ? শাসক দলের এক নেতৃত্ব প্রায়ই হুমকি দেন, সিপিআইএম কে জলে ভাসিয়ে দেবেন, নাহলে ঘরে ঢুকিয়ে দেবেন। তবে কি একের পর এক পার্টি অফিসে হামলা তারই ইঙ্গিত ?
প্রসঙ্গত দুর্গা পুজোর কটা দিন শান্তি বজায় থাকলেও দশমীর সাথে সাথেই আবারো হিংস্র রূপ নিচ্ছে কতিপয় দুষ্কৃতীরা। এরাই কিন্তু মায়ের আরাধনা করেছিল । এবার এরাই অসুর রূপে অবতীর্ণ হচ্ছে। খোয়াই এ সিপিআইএম এর পার্টি অফিসে রাতের আঁধারে চালিয়েছে ব্যাপক ভাংচুর। আর সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়ে এক মিছিলের আয়োজন করে আম খোয়াই এর বাম নেতারা।
উল্লেখ্য, খোয়াইয়ে সি পি আই ( এম)– র অঞ্চল অফিসে হামলা চালানো হয় গত রবিবার রাতে। তারই প্রতিবাদে মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় খোয়াই কোহিনুর কমপ্লেক্স সংলগ্ন এলাকাতে। এই প্রতিবাদ সমাবেশে এবং মিছিলে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় সিপিআইএম নেতৃত্ব কানন দও , সিপিএম দলের বর্ষীয়ান নেতৃত্ব সুগন্ধা বিকাশদে, মনোজ দাস, গৌতম পাল সহ অন্যান্য দের।
প্রতিবাদ মিছিলটি হোয়াই শহরের বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমা করে কুহিনূর সংলগ্ন এলাকাতে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত । সিপিআইএম লোকাল অফিসে দুষ্কৃতীদের হামলার প্রতিবাদে রাজ্য তথা খোয়াই পুলিশ প্রশাসনের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলছেন নেতৃত্বরা ।
রাজ্যে আইনের শাসন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। একথা কেবল মাত্র বিরোধী দের অভিযোগ মুলেই নয় বরং বাস্তবতার নিরিখে ও বলা যায়। তাই দিকে দিকে বিরোধীদের দলীয় অফিস ভাংচুর, পথে ঘাটে আক্রমণ, বিরোধী দলীয় সমর্থকদের বাড়ি ঘরে আক্রমণ, অগ্নি সংযোগ এর মতো ঘটনা অহরহ ঘটে চলেছে। আর সেক্ষেত্রে শাসক দলীয় কিছু দুষ্কৃতী দের জড়িত থাকার ও প্রমাণ মিলেছে বহু বার। তবুও এখন পর্যন্ত পুলিশ নিরপেক্ষ ভাবে দোষী দের কে আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদানে অক্ষম।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী যদি সত্যিই আইন আইনের পথে চলতো তবে আজ রাজ্যে বিরোধী সমর্থকেরা ও সুরক্ষিত থাকতো। যা বাস্তব অর্থে একেবারেই নয়। আর প্রশাসনের দুর্বলতার সুযোগ কে কাজে লাগিয়েই গভীর রাতে কোন এক সময় দুষ্কৃতীরা খোয়াই জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র সুভাষপার্কে সি পি আই ( এম)দলের অঞ্চল কমিটির অফিসে হামলা চালায়।
পার্টি অফিসের সামনে থাকা পতাকাসহ পতাকা দণ্ডটি ভেঙে ফেলা হয় । নীচ থেকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে ওপরের তলার ঘরের জানালার কাঁচ ভেঙে দেয় তারা । এছাড়া অফিসঘরের দরজার তালা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে। কিন্তু হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তালা খুলতে ব্যর্থ হয়ে পরে পার্টি অফিসের লাগোয়া একটি চায়ের স্টলের এগারোটি প্লাস্টিকের চেয়ার ভেঙে টুকরো টুকরো করে দেয়। ঘটনা জানতে পেরে নেতৃত্বরা ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আবারো এই ঘটনার জন্যে শাসক দল কে দায়ী করেছেন।
এদিনের মিছিল থেকেও নেতৃত্বরা বারবার শাসক দল কে তীব্র ভাষায় ধিক্কার জানিয়ে বলেন এভাবে বামেদের আটকানো যাবে না। মানুষ এর ভাবধারা কে অন্য দিকে ঘুড়িয়ে দিতে তাদের এই অপ প্রয়াস সম্পূর্ণ ভাবে ব্যর্থ হবে।