West Agartala PS : ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানেই পুলিশের জ্বালে অভিযুক্ত। এক প্রকার স্বস্তি পেলেন লাঞ্চিতা নাবালিকার পরিবার সহ এলাকাবাসী। পুলিশ যদি এভাবেই যে কোনো অপরাধের তদন্ত করে তাহলে অপরাধী দের নাগাল পাওয়া খুব একটা কষ্টের বিষয় নয়। এমনটাই মনে করেন সচেতন মহল।
উল্লেখ্য, দশমীর রাতে আগরতলার পশ্চিমাংশের রাজনগর এলাকার এক নাবালিকা রাতের বেলায় নিখোঁজ হয়ে যায়। পরদিন একটি পরিত্যাক্ত ঘর থেকে তাকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সে রক্ত বমি করছিলো। তাকে পাঠানো হয় জিবিপি হাসপাতালে। অভিযুক্ত ছিল একই এলাকার মাছ ব্যবসায়ী শঙ্কর দাস। ঘটনার পরপরই সে পালিয়ে যায়।
অতঃপর তার বিরুদ্ধে নাবালিকার পরিবার সহ এলাকাবাসী মিলে মামলা দায়ের করে। সেই মোতাবেক পশ্চিম মহিলা থানায় ঐ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পক্স আইনে মামলা গৃহীত হয়। এলাকার জনপ্রতিনিধি ও জিবি হাসপাতালে নাবালিকা মেয়েটিকে দেখতে গিয়ে দোষীর কঠিন শাস্তি হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন।
অতঃপর ২৪ ঘণ্টা পেরুবার আগেই ধরা পরে গেল সেই মেছো শঙ্কর। পালিয়ে পালিয়ে বেরাচ্ছিল সে। কিন্তু পুলিশ এর হাত থেকে পালিয়ে খুব একটা দূরে যেতে পারলো না। আমতলী থানার পুলিশ সহ পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপার এর সহযোগিতা মূলে পশ্চিম মহিলা থানার পুলিশ অভিযুক্ত মেছো শঙ্কর কে সেকেরকোট থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
তাকে যথারীতি কোর্টে প্রেরন করা হবে বলে জানিয়েছেন পশ্চিম মহিলা থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত ওসি শিউলি দাস। এখন দেখার বিষয় অপরাধী মেছো শঙ্কর এর এই কুকর্মের বদলে আইন তাকে কি ধরণের শাস্তি প্রদান করে।