DYFI Deputation : আগামী ১৯শে সেপ্টেম্বর ত্রিপুরার ত্রয়োদশ বিধানসভার ৮ম অধিবেশন । অধিবেশনে কি কি বিষয়ে আলোচনা হবে সেই নিয়ে চলছে নিবিড় দ্বন্দ্ব। বেকারত্ব সমাধানের প্রশ্নে সওয়াল জবাব হবে কি ? বিরোধীরা প্রশ্ন তুলবেন কি ? শাসক সরকারই বা এই নিয়ে আলোচনা করবেন কি ? এই সব প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
এরই মধ্যে স্বউদ্যগে বিরোধী দলনেতার কাছে বেকার দের স্বার্থে কথা বলার আর্জি নিয়ে আজ ডিওয়াইএফআই এর এক প্রতিনিধি দল একটি ডেপুটেশান প্রদান করেন। ছিলেন রাজ্য সম্পাদক নবারুন দে সহ অন্যান্যরা।
ডেপুটেশান দিয়ে সাংবাদিক দের সামনে নিজেদের বক্তব্য রাখতে গিয়ে নবারুন দে শাসক বিজেপি সরকারের বেকার বিরোধী নীতি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। বছরে ২ লক্ষ চাকরীর প্রসঙ্গ তো দূর, যোগ্য রাই চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এমনটাই অভিযোগ রয়েছে।
নিউ রিক্রুটমেন্ট পলিসির নামে বিজেপি সরকার বহু বেকারের স্বপ্ন ভেঙ্গেছে। পূর্বতন সরকার এর আমলে পরীক্ষার মাধ্যমে বহু বেকার কে চাকরীর জন্যে নিযুক্ত করা হয়। তাদের বাড়িতে অফার লেটার পৌঁছাবে, ঠিক তাঁর আগ মুহূর্তে রাজ্যে সরকার পাল্টে যায়। আর নতুন বিজেপি সরকার নয়া নিয়োগ নীতি লাগু করে সেই যোগ্য বেকার যুবক যুবতীদের স্বপ্ন ভেঙ্গে দেয়।
গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দেওয়া হয় তৎকালে। এতে করে প্রায় ১৫ হাজার যুবক যুবতীরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তিনটি বিভাগ থেকে পরীক্ষার্থীরা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে। সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট মামলা কারীদের পক্ষে রায় দিয়েছে। অতএব তাদের কে সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিয়োগ করার পক্ষে সওয়াল তুলতে হবে।
এই ৭ বছরে বহু বিধানসভা অধিবেশন সংগঠিত হলেও তাঁর কোনো টি তেই বেকারত্ব নিরসনের প্রশ্নে কোনো আলোচনা করেনি শাসক শিবির। বিরোধী দলনেতা বরাবরই বিধানসভার ভেতরে কিংবা বাইরে বেকারত্ব নিরসনের প্রশ্নে সরব থেকেছেন।
আগামী কাল ১৯শে সেপ্টেম্বর ত্রয়োদশ বিধানসভার ৮ম অধিবেশন শুরু হতে যাচ্ছে। এখানেও যাতে বেকারত্ব নিরসন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় সেই দাবী জানিয়ে আজ বিরোধী দলনেতার নিকট এক ডেপুতেশান প্রদান করে বামপন্থী ছাত্র যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই।