IGM Hospital News : শহরতলীর অন্যতম সরকারি হাসপাতাল আইজিএম হাসপাতালে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। দীর্ঘদিনের সাফাই কর্মী এবং নতুনভাবে নিযুক্ত কোম্পানির কর্মীদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। হাসপাতালের ভেতর ও বাইরে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয় এবং রোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যরাও ভোগান্তির শিকার হন।
অভিযোগ, গত ২০ বছর ধরে আইজিএম হাসপাতালের সাফাই কাজের দায়িত্বে ছিল সূলভ কোম্পানি। কিন্তু সম্প্রতি নতুন টেন্ডার ডেকে সাফাই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয় অন্য একটি সংস্থা, ATSF-এর হাতে। অভিযোগ উঠেছে, ATSF কোম্পানি পুরনো কর্মীদের নানা অজুহাতে ছাঁটাই করে নতুন কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা করছে। এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সূলভের কর্মীরা।
আজ সকালে সূলভ কোম্পানির কর্মীরা হাসপাতালে সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা দাবি তোলেন—যে শ্রমিকরা দুই দশক ধরে হাসপাতালে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে আসছেন, তাদের অন্যায়ভাবে সরানো যাবে না। বিক্ষোভ চলাকালীন ATSF-এর নতুন কর্মীরা হাসপাতালে ঢোকার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রবেশদ্বারেই দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে।
ঘটনার জেরে হাসপাতালের পরিবেশ রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। রোগী ও দর্শনার্থীরা আতঙ্কে ছুটোছুটি করতে থাকেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে গুরুতর আহত হওয়ার খবর এখনো পাওয়া যায়নি।
একজন সূলভ কর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা বছরের পর বছর এখানে কাজ করেছি, হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখেছি। অথচ এখন অন্য কোম্পানিকে দিয়ে আমাদের কাজ কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এটি শ্রমিকদের প্রতি অন্যায়।”
এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ে জানানো হয়েছে এবং দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে। কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, রোগীদের পরিষেবা স্বাভাবিক রাখাই তাদের প্রধান দায়িত্ব এবং সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তবে শ্রমিক সংগঠনের মতে, এই ধরনের সিদ্ধান্ত শুধু শ্রমিকদের জীবিকা নয়, হাসপাতালের স্বাভাবিক কাজকর্মকেও ব্যাহত করবে। তারা অবিলম্বে সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
এই ঘটনায় আবারও স্পষ্ট হলো—চাকরির নিরাপত্তা ও শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার রক্ষা নিয়ে প্রশাসনের আরও দায়িত্বশীল পদক্ষেপ প্রয়োজন। না হলে এ ধরনের অশান্তি হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় প্রায়শই দেখা দেবে।